ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

ওসি-এসপি সেজে প্রতারণা করতো অপু

দেশ দিগন্ত ডেক্স:
  • আপডেটের সময় : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৪১৭ টাইম ভিউ

কখনো ওসি আবার কখনো বা পরিচয় দিত পুলিশ সুপারের (এসপি)। হোয়াটস অ্যাপেও নিজেদের নাম্বারে ব্যবহার করতো পুলিশ কর্মকর্তাদের ছবি। ভুয়া পরিচয়ে হোয়াটস অ্যাপে কথা বলে প্রতারণা করতো প্রবাসীদের সাথে। এমন প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। প্রতারক চক্রের মূল হোতা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কাজী বাড়ি গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার ভাই কাজী টিপুসহ ওই চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান।

পুলিশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসার পর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রামের আরব আমিরাত প্রবাসী শেখ মোরশেদ আহমদের সাথে পরিচয় হয় কাজী অপু ও কাজী টিপুর সাথে। এক পর্যায়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে মোরশেদকে দিয়ে ১৯ লাখ টাকা দিয়ে ৩টি মাইক্রোবাস (নোহা) গাড়ি ক্রয় করায় তারা। ক্রয়কৃত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার কথা বলে গত ৩০ জুন মোরশেদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নেন অপু ও তার ভাই। এরপর থেকে টালবাহনা শুরু করেন তারা। গত ২৭ আগস্ট কাজী অপু একটি মাইক্রোবাসের বিক্রয়ের বায়নামাপত্র দেন শেখ মোরশেদকে। ওই কাগজপত্রে বিআরটিএ কর্মকর্তার দেয়া স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি অবগত হতে পারেন ক্রেতা। এরপর থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি ও সিলেটের পুলিশ সুপার সেজে ফোনে শেখ মোরশেদকে গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ ও ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের ব্যবস্থা করে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হতো। হোয়াটসঅ্যাপে ওসি ও এসপির ছবি সংযুক্ত করে রাখায় প্রথম দিকে শেখ মোরশেদ প্রতারণার বিষয়টি টেরই পাননি। পরে কাজী অপু ও তার ভাই কাজী টিপুর কারসাজির কথা বুঝতে পেরে বুধবার ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা করেন শেখ মোরশেদ। পুলিশ কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান জানান, কাজী অপু এডিট করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তাদের ছবি যুক্ত করে মানুষের সাথে প্রতারণা করতো। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির প্রমাণাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে তাকে রিমান্ডে আনা হবে বলে জানান মো. লুৎফর রহমান। #

পোস্ট শেয়ার করুন

ওসি-এসপি সেজে প্রতারণা করতো অপু

আপডেটের সময় : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

কখনো ওসি আবার কখনো বা পরিচয় দিত পুলিশ সুপারের (এসপি)। হোয়াটস অ্যাপেও নিজেদের নাম্বারে ব্যবহার করতো পুলিশ কর্মকর্তাদের ছবি। ভুয়া পরিচয়ে হোয়াটস অ্যাপে কথা বলে প্রতারণা করতো প্রবাসীদের সাথে। এমন প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। প্রতারক চক্রের মূল হোতা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কাজী বাড়ি গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার ভাই কাজী টিপুসহ ওই চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান।

পুলিশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসার পর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রামের আরব আমিরাত প্রবাসী শেখ মোরশেদ আহমদের সাথে পরিচয় হয় কাজী অপু ও কাজী টিপুর সাথে। এক পর্যায়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে মোরশেদকে দিয়ে ১৯ লাখ টাকা দিয়ে ৩টি মাইক্রোবাস (নোহা) গাড়ি ক্রয় করায় তারা। ক্রয়কৃত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার কথা বলে গত ৩০ জুন মোরশেদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নেন অপু ও তার ভাই। এরপর থেকে টালবাহনা শুরু করেন তারা। গত ২৭ আগস্ট কাজী অপু একটি মাইক্রোবাসের বিক্রয়ের বায়নামাপত্র দেন শেখ মোরশেদকে। ওই কাগজপত্রে বিআরটিএ কর্মকর্তার দেয়া স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি অবগত হতে পারেন ক্রেতা। এরপর থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি ও সিলেটের পুলিশ সুপার সেজে ফোনে শেখ মোরশেদকে গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ ও ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের ব্যবস্থা করে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হতো। হোয়াটসঅ্যাপে ওসি ও এসপির ছবি সংযুক্ত করে রাখায় প্রথম দিকে শেখ মোরশেদ প্রতারণার বিষয়টি টেরই পাননি। পরে কাজী অপু ও তার ভাই কাজী টিপুর কারসাজির কথা বুঝতে পেরে বুধবার ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা করেন শেখ মোরশেদ। পুলিশ কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান জানান, কাজী অপু এডিট করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তাদের ছবি যুক্ত করে মানুষের সাথে প্রতারণা করতো। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির প্রমাণাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে তাকে রিমান্ডে আনা হবে বলে জানান মো. লুৎফর রহমান। #