ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া

ওসি-এসপি সেজে প্রতারণা করতো অপু

দেশ দিগন্ত ডেক্স:
  • আপডেটের সময় : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৪৪৪ টাইম ভিউ

কখনো ওসি আবার কখনো বা পরিচয় দিত পুলিশ সুপারের (এসপি)। হোয়াটস অ্যাপেও নিজেদের নাম্বারে ব্যবহার করতো পুলিশ কর্মকর্তাদের ছবি। ভুয়া পরিচয়ে হোয়াটস অ্যাপে কথা বলে প্রতারণা করতো প্রবাসীদের সাথে। এমন প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। প্রতারক চক্রের মূল হোতা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কাজী বাড়ি গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার ভাই কাজী টিপুসহ ওই চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান।

পুলিশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসার পর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রামের আরব আমিরাত প্রবাসী শেখ মোরশেদ আহমদের সাথে পরিচয় হয় কাজী অপু ও কাজী টিপুর সাথে। এক পর্যায়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে মোরশেদকে দিয়ে ১৯ লাখ টাকা দিয়ে ৩টি মাইক্রোবাস (নোহা) গাড়ি ক্রয় করায় তারা। ক্রয়কৃত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার কথা বলে গত ৩০ জুন মোরশেদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নেন অপু ও তার ভাই। এরপর থেকে টালবাহনা শুরু করেন তারা। গত ২৭ আগস্ট কাজী অপু একটি মাইক্রোবাসের বিক্রয়ের বায়নামাপত্র দেন শেখ মোরশেদকে। ওই কাগজপত্রে বিআরটিএ কর্মকর্তার দেয়া স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি অবগত হতে পারেন ক্রেতা। এরপর থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি ও সিলেটের পুলিশ সুপার সেজে ফোনে শেখ মোরশেদকে গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ ও ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের ব্যবস্থা করে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হতো। হোয়াটসঅ্যাপে ওসি ও এসপির ছবি সংযুক্ত করে রাখায় প্রথম দিকে শেখ মোরশেদ প্রতারণার বিষয়টি টেরই পাননি। পরে কাজী অপু ও তার ভাই কাজী টিপুর কারসাজির কথা বুঝতে পেরে বুধবার ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা করেন শেখ মোরশেদ। পুলিশ কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান জানান, কাজী অপু এডিট করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তাদের ছবি যুক্ত করে মানুষের সাথে প্রতারণা করতো। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির প্রমাণাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে তাকে রিমান্ডে আনা হবে বলে জানান মো. লুৎফর রহমান। #

পোস্ট শেয়ার করুন

ওসি-এসপি সেজে প্রতারণা করতো অপু

আপডেটের সময় : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

কখনো ওসি আবার কখনো বা পরিচয় দিত পুলিশ সুপারের (এসপি)। হোয়াটস অ্যাপেও নিজেদের নাম্বারে ব্যবহার করতো পুলিশ কর্মকর্তাদের ছবি। ভুয়া পরিচয়ে হোয়াটস অ্যাপে কথা বলে প্রতারণা করতো প্রবাসীদের সাথে। এমন প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। প্রতারক চক্রের মূল হোতা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কাজী বাড়ি গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার ভাই কাজী টিপুসহ ওই চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান।

পুলিশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসার পর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রামের আরব আমিরাত প্রবাসী শেখ মোরশেদ আহমদের সাথে পরিচয় হয় কাজী অপু ও কাজী টিপুর সাথে। এক পর্যায়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে মোরশেদকে দিয়ে ১৯ লাখ টাকা দিয়ে ৩টি মাইক্রোবাস (নোহা) গাড়ি ক্রয় করায় তারা। ক্রয়কৃত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার কথা বলে গত ৩০ জুন মোরশেদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নেন অপু ও তার ভাই। এরপর থেকে টালবাহনা শুরু করেন তারা। গত ২৭ আগস্ট কাজী অপু একটি মাইক্রোবাসের বিক্রয়ের বায়নামাপত্র দেন শেখ মোরশেদকে। ওই কাগজপত্রে বিআরটিএ কর্মকর্তার দেয়া স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি অবগত হতে পারেন ক্রেতা। এরপর থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি ও সিলেটের পুলিশ সুপার সেজে ফোনে শেখ মোরশেদকে গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ ও ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের ব্যবস্থা করে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হতো। হোয়াটসঅ্যাপে ওসি ও এসপির ছবি সংযুক্ত করে রাখায় প্রথম দিকে শেখ মোরশেদ প্রতারণার বিষয়টি টেরই পাননি। পরে কাজী অপু ও তার ভাই কাজী টিপুর কারসাজির কথা বুঝতে পেরে বুধবার ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা করেন শেখ মোরশেদ। পুলিশ কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান জানান, কাজী অপু এডিট করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তাদের ছবি যুক্ত করে মানুষের সাথে প্রতারণা করতো। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির প্রমাণাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে তাকে রিমান্ডে আনা হবে বলে জানান মো. লুৎফর রহমান। #