ঢাকা , সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা

ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে কুয়েতস্হ বাংলাদেশ দূতাবাসে আলোচনা সভা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০১৯
  • / ১৬৪৬ টাইম ভিউ

নিজস্ব প্রতিনিধি:  ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয় । দূতালয় প্রধান কাউন্সিলর(পোল)মো:আনিসুজামান এইচ.ও.সি এর সাবলিল উপস্হাপনায় ফরিদ উদ্দিনের কোরআন তেলাওয়াত এর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় । বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয় ৬:০৫ ঘটিকার সময় ৬:১০ মিনিটের সময় বানী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্ধ । ৬:৩০ মিনিটের সময় দিবসের উপর আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবন্দ এবং ৭ ঘটিকার সময় মান্যবর রাষ্টদৃ একে এম আবুলকালাম উনার বক্তব্য বলেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ভীড় জমিয়েছিলে রমনার রেসকোর্স ময়দান, আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কবি নির্মলেন্দু গুণ মানুষের সেই সমাবেশ চিত্রিত করেছেন এভাবে, ‘কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে এই মাঠে ছুটে এসেছিল/ কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক, লাঙল জোয়াল কাঁধে/ এসেছিল ঝাঁক বেঁধে কৃষক, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে/ এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক, হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে/ এসেছিল মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ…।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ইতিহাসের অনন্য ভাষণটি দেন। মাত্র উনিশ মিনিটের ওই ভাষণে তিনি গোটা বাঙালির প্রাণের সমস্ত আকুতি ঢেলে দিলেন। তা ছিল, অধিকার-বঞ্চিত বাঙালির শত হাজার বছরের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নের উচ্চারণে সমৃদ্ধ।

তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ৭ মার্চ এক অত্যুজ্জ্বল মাইলফলক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদিন তাঁর সর্বশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন এটা ১ মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত করার পরই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন। যার কারণে ৭ মার্চ রেসকোর্সের জনসভার জন্য সমগ্র পাকিস্তানের সব মানুষ উৎকণ্ঠিত চিত্তে অপেক্ষা করছিলেন। যদিও ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত সভায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। রাস্ট্রদূত কুয়েতে অবস্হানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের বলেন স্হানীয় আইন মেনে চলাফেরা সহ কাজকর্ম করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করবেন ।

পোস্ট শেয়ার করুন

ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে কুয়েতস্হ বাংলাদেশ দূতাবাসে আলোচনা সভা

আপডেটের সময় : ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধি:  ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয় । দূতালয় প্রধান কাউন্সিলর(পোল)মো:আনিসুজামান এইচ.ও.সি এর সাবলিল উপস্হাপনায় ফরিদ উদ্দিনের কোরআন তেলাওয়াত এর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় । বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয় ৬:০৫ ঘটিকার সময় ৬:১০ মিনিটের সময় বানী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্ধ । ৬:৩০ মিনিটের সময় দিবসের উপর আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবন্দ এবং ৭ ঘটিকার সময় মান্যবর রাষ্টদৃ একে এম আবুলকালাম উনার বক্তব্য বলেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ভীড় জমিয়েছিলে রমনার রেসকোর্স ময়দান, আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কবি নির্মলেন্দু গুণ মানুষের সেই সমাবেশ চিত্রিত করেছেন এভাবে, ‘কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে এই মাঠে ছুটে এসেছিল/ কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক, লাঙল জোয়াল কাঁধে/ এসেছিল ঝাঁক বেঁধে কৃষক, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে/ এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক, হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে/ এসেছিল মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ…।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ইতিহাসের অনন্য ভাষণটি দেন। মাত্র উনিশ মিনিটের ওই ভাষণে তিনি গোটা বাঙালির প্রাণের সমস্ত আকুতি ঢেলে দিলেন। তা ছিল, অধিকার-বঞ্চিত বাঙালির শত হাজার বছরের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নের উচ্চারণে সমৃদ্ধ।

তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ৭ মার্চ এক অত্যুজ্জ্বল মাইলফলক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদিন তাঁর সর্বশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন এটা ১ মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত করার পরই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন। যার কারণে ৭ মার্চ রেসকোর্সের জনসভার জন্য সমগ্র পাকিস্তানের সব মানুষ উৎকণ্ঠিত চিত্তে অপেক্ষা করছিলেন। যদিও ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত সভায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। রাস্ট্রদূত কুয়েতে অবস্হানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের বলেন স্হানীয় আইন মেনে চলাফেরা সহ কাজকর্ম করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করবেন ।