এম এম শাহীনের নির্বাচনী প্রচারণায় স্ত্রী-পুত্র-কন্যা
- আপডেটের সময় : ০৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮
- / ১২৪৯ টাইম ভিউ
ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ দেশের আলোচিত মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে এম এম শাহীনের পক্ষে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে প্রচারণায় নেমেছেন তাঁর স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা। প্রতীক নিশ্চিত হবার পরদিন থেকে বিরামহীনভাবে কুলাউড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনী গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন তারা। নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট কামনা করছেন মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, সাবেক এমপি ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীনের স্ত্রী নাজনিন শাহীন, একমাত্র পুত্র রাফিদ শাহিন ও জ্যৈষ্ঠ কন্যা আনুভা শাহীন। এম এম শাহীনের স্ত্রী, পুত্র-কন্যাসহ পরিবারের সদস্যরা শেষ মুহুর্তের নির্বাচনী প্রচারণায় ভোটারদের সান্নিধ্যে যাচ্ছেন আর ভোট কামনা করছেন। এতে স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভোটাররা উৎসাহিত হচ্ছেন।
নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে গিয়ে নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় নারী ভোটারদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তারা। প্রার্থীর সাথে নয়, পৃথকভাবে স্ত্রী ও দুই ভাই-বোন মিলে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে নারী ভোটারদের সাথে উঠোন বৈঠক, মতবিনিময়সহ নানাভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরছেন। সেই সাথে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আবারো নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য সকলের কাছে ভোট আহবান করেন। গণসংযোগকালে বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের আগমণে গ্রামের নারীরা সাদরে বরণ করছেন।
এম এম শাহীনের স্ত্রী নাজনিন শাহীন কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করছে। তিনিও সেখানে থাকেন। স্বামী এম এম শাহীন নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ১ ডিসেম্বর একমাত্র ছেলে রাফিদ শাহীন ও বড় মেয়ে আনুভা শাহীনকে নিয়ে দেশে ফিরেছেন।
স্বামীর জন্য ভোট চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দাম্পত্য জীবনে সুখে-দুঃখে একজন তো আরেকজনের পাশে দাঁড়াবেই। কয়েক মাস পূর্বে আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। অপারেশন হয়েছিল। তখন আমার স্বামী (শাহীন) সার্বক্ষণিক পাশে ছিলেন। এখন বেশ সুস্থ। তাই, মা ও ছেলে-মেয়ে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি, তাকে বিজয়ী করার জন্য। কুলাউড়ার অনেকের সঙ্গে আগে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়নি। সবার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। পাশাপাশি এ এলাকার পুত্রবধূ হিসেবে স্বামীর জন্য ভোটও চাচ্ছি। মানুষ বেশ সাড়া দিচ্ছেন।
কন্যা আনুভা শাহীন কালের কণ্ঠকে বলেন, বাবা দীর্ঘদিন মানুষের সেবা করে আসছেন। তিনি এই আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এলাকার মানুষই তাঁর পরিবার। মানুষের জন্য সবসময় চিন্তা করেন, সুখ-দুঃখে পাশে থাকেন। বাবাকে এলাকার মানুষ এতো ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে তা এবারের নির্বাচনে গণসংযোগ করতে এসে ভোটারসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে বুঝতে পারছি। এমন কোন স্থান নেই যেখানে আমাদের সম্মান করা হয়নি। এসব কিছুই পাচ্ছি একজন গর্বিত বাবার পুত্র-কন্যা হওয়ার জন্যই।
রাফিদ শাহীন কালের কণ্ঠকে বলেন, তরুণ ভোটারদের প্রথম ভোট মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে হউক। তরুণরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তারাই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। মা-চাচীদের ভোট উন্নয়নের পক্ষে হউক। আসুন নৌকায় ভোট দিয়ে দেশ সেবায় অংশীদার হই। দেশ ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করি।