ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া

একসঙ্গে এইচএসসি পাস করলেন মা-মেয়ে

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯
  • / ৪৬৭ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ লেখাপড়া করার এক অদম্য ইচ্ছা কুরে কুরে খেয়েছে মাসুমা খাতুনকে। সেই ইচ্ছা বুকের ভেতর চাপা রেখেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু পরীক্ষার আগেই পরিবার থেকে তার বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। এরপর আর পরীক্ষা দিতে পারেননি মাসুমা খাতুন। কিন্তু বুকের ভেতরের সেই ইচ্ছা পূরণে অবশেষে তিনি নতুন করে শুরু করেন লেখাপড়া। চলতি বছর নিজের মেয়ের সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার মাসুমা খাতুন।

তিনি চলতি বছর কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পেয়েছেন জিপিএ-৪ দশমিক ১৩। আর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

মাসুমা খাতুনের বাবার বাড়ি বাগাতিপাড়া উপজেলার বারইপাড়া গ্রামে। বিয়ে হয় বাগাতিপাড়া উপজেলা সদরে। স্বামী আব্দুল মজিদ আনসার ব্যাটালিয়নে সিপাহী (প্রশিক্ষক) পদে চাকরি করেন। তার কর্মস্থল গাজীপুরে। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে বনি আমিন বাগাতিপাড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র।

মাসুমা খাতুন বলেন, বিয়ের ১৮ বছর পেরিয়ে গেছে। পরপর দুই ছেলে-মেয়েকে মানুষ করতে গিয়ে নিজের পড়ার কথা ভাবারই সময় পাইনি। অবশেষে ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে নতুন করে পড়ালেখা শুরু করেছি। সমাজের আর দশটা মানুষের মতো নিজেকেও একজন শিক্ষিত মানুষ হিসেবে যাতে পরিচয় দিতে পারি, সে কারণেই এই বয়সে কষ্ট করে লেখাপড়া করছি।

মাসুমা খাতুনের স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, আমার জন্য একটু কষ্ট হলেও আমি তার ইচ্ছার মর্যাদা দিয়েছি। সে যতদূর পড়াশোনা করতে পারে, আমি চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব।

পোস্ট শেয়ার করুন

একসঙ্গে এইচএসসি পাস করলেন মা-মেয়ে

আপডেটের সময় : ১০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ লেখাপড়া করার এক অদম্য ইচ্ছা কুরে কুরে খেয়েছে মাসুমা খাতুনকে। সেই ইচ্ছা বুকের ভেতর চাপা রেখেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু পরীক্ষার আগেই পরিবার থেকে তার বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। এরপর আর পরীক্ষা দিতে পারেননি মাসুমা খাতুন। কিন্তু বুকের ভেতরের সেই ইচ্ছা পূরণে অবশেষে তিনি নতুন করে শুরু করেন লেখাপড়া। চলতি বছর নিজের মেয়ের সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার মাসুমা খাতুন।

তিনি চলতি বছর কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পেয়েছেন জিপিএ-৪ দশমিক ১৩। আর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

মাসুমা খাতুনের বাবার বাড়ি বাগাতিপাড়া উপজেলার বারইপাড়া গ্রামে। বিয়ে হয় বাগাতিপাড়া উপজেলা সদরে। স্বামী আব্দুল মজিদ আনসার ব্যাটালিয়নে সিপাহী (প্রশিক্ষক) পদে চাকরি করেন। তার কর্মস্থল গাজীপুরে। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে বনি আমিন বাগাতিপাড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র।

মাসুমা খাতুন বলেন, বিয়ের ১৮ বছর পেরিয়ে গেছে। পরপর দুই ছেলে-মেয়েকে মানুষ করতে গিয়ে নিজের পড়ার কথা ভাবারই সময় পাইনি। অবশেষে ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে নতুন করে পড়ালেখা শুরু করেছি। সমাজের আর দশটা মানুষের মতো নিজেকেও একজন শিক্ষিত মানুষ হিসেবে যাতে পরিচয় দিতে পারি, সে কারণেই এই বয়সে কষ্ট করে লেখাপড়া করছি।

মাসুমা খাতুনের স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, আমার জন্য একটু কষ্ট হলেও আমি তার ইচ্ছার মর্যাদা দিয়েছি। সে যতদূর পড়াশোনা করতে পারে, আমি চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব।