ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

একদিনে দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ১৩

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০
  • / ৩৬১ টাইম ভিউ

শনিবার একদিনে ময়মনসিংহ ও চুয়াডাঙ্গার দুই সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৮ আগস্ট) ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বাসের ধাক্কায় এক পরিবারের তিনজনসহ সাত অটোরিকশা আরোহী এবং চুয়াডাঙ্গা সদরে বাসের ধাক্কায় ভ্যানগাড়ির আরোহী ছয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহের জামালপুরগামী একটি বাস বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মুক্তাগাছার মানকোন এলাকায় অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। অটোরিকশাটি জামালপুর থেকে ময়মনসিংহে যাচ্ছিল।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন অটোরিকশার আরোহী টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কাটাজানিনয়াপাড়ার নুরুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (৩২), তাদের মেয়ে লিজা আক্তার (১২), মুক্তাগাছার মলাজানি গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৫), ভদ্রেরবাইদ গ্রামের সাইদুল ইসলাম (৫৫), মধুপুরের শোলাকুড়ি গ্রামের নজল মিয়া (৬০) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক শ্রীরামপুর গ্রামের আলাদুল (৩৫)।

ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন জানান,বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে অটোরিকশার চার আরোহী নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আহত তিনজনের মৃত্যু হয়।

সাতজনের লাশ উদ্ধার করে মুক্তাগাছা থানায় রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসটিকে আটক করা হয়েছে।

একইদিনে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ এলাকায় বাসের ধাক্কায় ভ্যানগাড়ির আরোহী ছয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন।

নিহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা সদরের খাড়াগোদা গ্রামের মাহতাব আলীর ছেলে মিলন হোসেন (৪০), তিতুদহ গ্রামের নোতা আলীর ছেলে মোহাম্মদ সোহাগ (২০), আব্দুর রহিমের ছেলে শরীফ হোসেন (৩০), আলী হোসেনের ছেলে রাজু হোসেন (৩০), হায়দার আলীর ছেলে কালু হোসেন (৪০)ও বসুভাণ্ডারদহ গ্রামের শ্রী হাওলাদারের ছেলে ষষ্টি কুমার হাওলাদার (৩৫)।

আহতরা হলেন তিতুদহ গ্রামের বাবলু হোসেন (৪৫), আলমগীর হোসেন (২৮) ও মোহাম্মদজুমা গ্রামের আকাশ আলী (১৮)। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আব্দুল সালাম বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রয়েল পরিবহনের একটি বাস ইঞ্জিনচালিত দুইটি ভ্যানগাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় একটি ভ্যানগাড়ির দুজন শ্রমিক ঘটনাস্থলে মারা যান। হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বেলা ১০টার দিকে মারা যান আরও একজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতরা সকলেই কৃষি শ্রমিক। তারা একটি ভ্যানে করে মাঠে কাজ করার জন্য যাচ্ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফখরুল আলম খান বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে রয়েল পরিবহনের চালক আসাদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

একদিনে দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ১৩

আপডেটের সময় : ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০

শনিবার একদিনে ময়মনসিংহ ও চুয়াডাঙ্গার দুই সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৮ আগস্ট) ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বাসের ধাক্কায় এক পরিবারের তিনজনসহ সাত অটোরিকশা আরোহী এবং চুয়াডাঙ্গা সদরে বাসের ধাক্কায় ভ্যানগাড়ির আরোহী ছয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহের জামালপুরগামী একটি বাস বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মুক্তাগাছার মানকোন এলাকায় অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। অটোরিকশাটি জামালপুর থেকে ময়মনসিংহে যাচ্ছিল।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন অটোরিকশার আরোহী টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কাটাজানিনয়াপাড়ার নুরুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (৩২), তাদের মেয়ে লিজা আক্তার (১২), মুক্তাগাছার মলাজানি গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৫), ভদ্রেরবাইদ গ্রামের সাইদুল ইসলাম (৫৫), মধুপুরের শোলাকুড়ি গ্রামের নজল মিয়া (৬০) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক শ্রীরামপুর গ্রামের আলাদুল (৩৫)।

ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন জানান,বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে অটোরিকশার চার আরোহী নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আহত তিনজনের মৃত্যু হয়।

সাতজনের লাশ উদ্ধার করে মুক্তাগাছা থানায় রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসটিকে আটক করা হয়েছে।

একইদিনে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ এলাকায় বাসের ধাক্কায় ভ্যানগাড়ির আরোহী ছয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন।

নিহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা সদরের খাড়াগোদা গ্রামের মাহতাব আলীর ছেলে মিলন হোসেন (৪০), তিতুদহ গ্রামের নোতা আলীর ছেলে মোহাম্মদ সোহাগ (২০), আব্দুর রহিমের ছেলে শরীফ হোসেন (৩০), আলী হোসেনের ছেলে রাজু হোসেন (৩০), হায়দার আলীর ছেলে কালু হোসেন (৪০)ও বসুভাণ্ডারদহ গ্রামের শ্রী হাওলাদারের ছেলে ষষ্টি কুমার হাওলাদার (৩৫)।

আহতরা হলেন তিতুদহ গ্রামের বাবলু হোসেন (৪৫), আলমগীর হোসেন (২৮) ও মোহাম্মদজুমা গ্রামের আকাশ আলী (১৮)। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আব্দুল সালাম বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রয়েল পরিবহনের একটি বাস ইঞ্জিনচালিত দুইটি ভ্যানগাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় একটি ভ্যানগাড়ির দুজন শ্রমিক ঘটনাস্থলে মারা যান। হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বেলা ১০টার দিকে মারা যান আরও একজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতরা সকলেই কৃষি শ্রমিক। তারা একটি ভ্যানে করে মাঠে কাজ করার জন্য যাচ্ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফখরুল আলম খান বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে রয়েল পরিবহনের চালক আসাদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন।