ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

একজন মানুষও যেন গৃহহারা না থাকে : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ৩৩৭ টাইম ভিউ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একজন মানুষও যেন গৃহহারা না থাকে। যারা নদী ভাঙনে ঘর হারিয়েছেন তারা ঘর পাবেন। আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ঘরে ঘরে আলো জ্বালাবো।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, আমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা বারবার আমাকে ভোট দিয়েছেন। মানুষের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, সেই জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা পালন করতে যাচ্ছি। ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আমরা মুজিব বর্ষ ঘোষণা দিয়েছি। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো।

তিনি বলেন, আমরা এখন স্বাধীন জাতি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। দীর্ঘ এক দশক ধরে ক্ষমতায় থেকে আমরা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশকে কেউ এখন অবহেলা করতে পারে না।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ঘরে ঘরে আলো জ্বালাবো। বাংলাদেশের একজন মানুষও যেন গৃহহারা না থাকে। যারা নদী ভাঙনে ঘর হারিয়েছেন তারা ঘর পাবেন। আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা যায় না : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরাজিত শক্তির দোসরদের মদদে বারবার ইতিহাস মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা যায় না।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, গবেষক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হায়দার আলী খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেরিনা জামান কবিতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান থেকে ফিরে এলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি দেশ গঠনে মনোনিবেশ করলেন। কিন্তু পাকিস্তানের দোসররা ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিলো। তারা ভাষা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে তাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করলো। কিন্তু ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।

গত এক দশকে দেশ আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করেছে। শহীদদের আত্মত্যাগ আওয়ামী লীগ কখনও বৃথা যেতে দেবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি আমরা প্রযুক্তিকেও এগিয়ে নিতে চাই। প্রযুক্তির জ্ঞান ব্যবহার করে আমরা সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। ভাষাশহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেবো না।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ৭৫-এর পর ২১টি বছর জাতির পিতার নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর তা আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে আবারও মুছে ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু পারেনি। সবচেয়ে সৌভাগ্যের বিষয় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পালন করতে পারছি।

তিনি বলেন, বাংলাকে কেউ এখন দারিদ্র্য, দুর্যোগপূর্ণ ও ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত দেশ বলতে পারবে না। বাংলাদেশের একটি মানুষও যেন গৃহহারা না থাকে। যারা গৃহহীন তাদের আমরা ঘর করে দেবো। প্রত্যেক মানুষের একটা ঠিকানা হবে।

আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে সারা বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে, আজ সারা দুয়িনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে স্বীকৃত দিয়েছে। তিনি এখন শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বেরও নেতা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। তার সুযোগ্য ও সঠিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্বৈরাচারি শাসক গোষ্ঠী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি মুছে ফেলতে চেয়েছিল। আজ একটি শিশু পর্যন্ত জানে বঙ্গবন্ধু কে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু দুটি স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতি করেছিলেন, একটি হলো স্বাধীনতা আর একটি অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন আর তার কন্যা শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তি দানের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেদিন আর বেশি দূরে নয় বঙ্গবন্ধু বলতেন আমার বাংলা হচ্ছে শস্য, শ্যামলা, সুজলা, সুফলা সোনার বাংলা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি রাজনীতি এখন দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালদা জিয়ার স্বাস্থ্যের মধ্যে আটকে আছে। জনগণের বিষয় নিয়ে তাদের কোনও বক্তৃতা বিবৃতি নেই। কোমরের ব্যাথায় খালেদা জিয়ার দাঁড়াতে পারছেন না, খালেদা জিয়া অসুস্থ এই হচ্ছে তাদের রাজনীতি। এটার মধ্যেই তারা আটকে আছে।

তিনি বলেন, এই ব্যাথা নিয়ে খালেদা জিয়া ২ বার প্রধানমন্ত্রী, ২ বার বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং ২০১৩ ও ২০১৪ সালে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার যে আন্দোলন সেটারও নেতৃত্ব দিয়েছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তার লক্ষ্য শুধু বস্তুগত উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত রাষ্ট্র গঠন নয়। শেখ হাসিনার মেধা ও মনন দিয়ে উন্নত জাতি গঠন করা। ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্ব বাংলাদেশকে অনুকরণ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আরও সময় পান তাহলে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের গল্প মানুষ শুনবে না, তখন বিশ্ববাসী বাংলাদেশের গল্প শুনবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

একজন মানুষও যেন গৃহহারা না থাকে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেটের সময় : ১১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একজন মানুষও যেন গৃহহারা না থাকে। যারা নদী ভাঙনে ঘর হারিয়েছেন তারা ঘর পাবেন। আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ঘরে ঘরে আলো জ্বালাবো।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, আমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা বারবার আমাকে ভোট দিয়েছেন। মানুষের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, সেই জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা পালন করতে যাচ্ছি। ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আমরা মুজিব বর্ষ ঘোষণা দিয়েছি। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো।

তিনি বলেন, আমরা এখন স্বাধীন জাতি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। দীর্ঘ এক দশক ধরে ক্ষমতায় থেকে আমরা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশকে কেউ এখন অবহেলা করতে পারে না।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ঘরে ঘরে আলো জ্বালাবো। বাংলাদেশের একজন মানুষও যেন গৃহহারা না থাকে। যারা নদী ভাঙনে ঘর হারিয়েছেন তারা ঘর পাবেন। আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা যায় না : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরাজিত শক্তির দোসরদের মদদে বারবার ইতিহাস মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা যায় না।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, গবেষক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হায়দার আলী খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেরিনা জামান কবিতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান থেকে ফিরে এলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি দেশ গঠনে মনোনিবেশ করলেন। কিন্তু পাকিস্তানের দোসররা ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিলো। তারা ভাষা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে তাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করলো। কিন্তু ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।

গত এক দশকে দেশ আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করেছে। শহীদদের আত্মত্যাগ আওয়ামী লীগ কখনও বৃথা যেতে দেবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি আমরা প্রযুক্তিকেও এগিয়ে নিতে চাই। প্রযুক্তির জ্ঞান ব্যবহার করে আমরা সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। ভাষাশহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেবো না।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ৭৫-এর পর ২১টি বছর জাতির পিতার নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর তা আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে আবারও মুছে ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু পারেনি। সবচেয়ে সৌভাগ্যের বিষয় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পালন করতে পারছি।

তিনি বলেন, বাংলাকে কেউ এখন দারিদ্র্য, দুর্যোগপূর্ণ ও ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত দেশ বলতে পারবে না। বাংলাদেশের একটি মানুষও যেন গৃহহারা না থাকে। যারা গৃহহীন তাদের আমরা ঘর করে দেবো। প্রত্যেক মানুষের একটা ঠিকানা হবে।

আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে সারা বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে, আজ সারা দুয়িনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে স্বীকৃত দিয়েছে। তিনি এখন শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বেরও নেতা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। তার সুযোগ্য ও সঠিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্বৈরাচারি শাসক গোষ্ঠী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি মুছে ফেলতে চেয়েছিল। আজ একটি শিশু পর্যন্ত জানে বঙ্গবন্ধু কে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু দুটি স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতি করেছিলেন, একটি হলো স্বাধীনতা আর একটি অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন আর তার কন্যা শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তি দানের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেদিন আর বেশি দূরে নয় বঙ্গবন্ধু বলতেন আমার বাংলা হচ্ছে শস্য, শ্যামলা, সুজলা, সুফলা সোনার বাংলা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি রাজনীতি এখন দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালদা জিয়ার স্বাস্থ্যের মধ্যে আটকে আছে। জনগণের বিষয় নিয়ে তাদের কোনও বক্তৃতা বিবৃতি নেই। কোমরের ব্যাথায় খালেদা জিয়ার দাঁড়াতে পারছেন না, খালেদা জিয়া অসুস্থ এই হচ্ছে তাদের রাজনীতি। এটার মধ্যেই তারা আটকে আছে।

তিনি বলেন, এই ব্যাথা নিয়ে খালেদা জিয়া ২ বার প্রধানমন্ত্রী, ২ বার বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং ২০১৩ ও ২০১৪ সালে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার যে আন্দোলন সেটারও নেতৃত্ব দিয়েছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তার লক্ষ্য শুধু বস্তুগত উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত রাষ্ট্র গঠন নয়। শেখ হাসিনার মেধা ও মনন দিয়ে উন্নত জাতি গঠন করা। ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্ব বাংলাদেশকে অনুকরণ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আরও সময় পান তাহলে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের গল্প মানুষ শুনবে না, তখন বিশ্ববাসী বাংলাদেশের গল্প শুনবে।