ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

ঈদের পর দিনও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০
  • / ৩৯২ টাইম ভিউ

ঈদের পর দিনও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। করোনাভাইরাস সংক্রামণের ঝুঁকি থাকলেও থেমে নেই অনেকে। আর তাই মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটে ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীদের চাপ দেখা যায় সকাল সাতটা থেকেই। দুই ঘাটেই নদীর উভয় পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শ যানবাহন।

মঙ্গলবার সকলে থেকেই মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিনবঙ্গের যাত্রীদের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। লক্ষ্য করা গেছে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড়ও বাড়ছে।

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, সকাল থেকে ৯টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীরা বিভিন্ন প্রকার যানবাহনে ঢাকা থেকে ভেঙে ভেঙে শিমুলিয়া ঘাটে এসে পৌঁছছে। এখান থেকে নির্বিঘ্নে ফেরি দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রীর চাপ আগের মত নেই। যাত্রীর চাপ না থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারছে। সকাল থেকে ছোট গাড়ির চাপ রয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক ছোট ছোট গাড়ি।

শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বিআইডব্লিউটিসি) মো. জামিল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে আজও হাজার হাজার মানুষ কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে বাড়ি ছুটছেন। অন্যদিকে কোনো রকম বিড়ম্বনায় যাতে না পড়তে হয়, সেকারণে কর্মস্থল রাজধানী ঢাকায় যোগ দিতে আগেভাগেই পারাপার হচ্ছেন অনেক যাত্রী।

এদিকে ফেরিঘাটে এসে বিপাকে পড়ছে যাত্রীরাও। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কেউ কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ ছোট ছোট যানবাহনে ৩ থেকে ৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন। তবে, মাদারীপুরের ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও তা ছিল অকার্যকর। ফলে অবাধে যাতায়াত করছে মানুষ। এরমধ্যে কোথাও কাউকেই মানতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্য বিধি।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ রাজধানী ঢাকার সাথে যাতায়াতের জন্য মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট ব্যবহার করেন। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করলেও ঈদে এর সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

পোস্ট শেয়ার করুন

ঈদের পর দিনও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

আপডেটের সময় : ০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০

ঈদের পর দিনও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। করোনাভাইরাস সংক্রামণের ঝুঁকি থাকলেও থেমে নেই অনেকে। আর তাই মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটে ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীদের চাপ দেখা যায় সকাল সাতটা থেকেই। দুই ঘাটেই নদীর উভয় পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শ যানবাহন।

মঙ্গলবার সকলে থেকেই মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিনবঙ্গের যাত্রীদের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। লক্ষ্য করা গেছে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড়ও বাড়ছে।

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, সকাল থেকে ৯টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীরা বিভিন্ন প্রকার যানবাহনে ঢাকা থেকে ভেঙে ভেঙে শিমুলিয়া ঘাটে এসে পৌঁছছে। এখান থেকে নির্বিঘ্নে ফেরি দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রীর চাপ আগের মত নেই। যাত্রীর চাপ না থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারছে। সকাল থেকে ছোট গাড়ির চাপ রয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক ছোট ছোট গাড়ি।

শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বিআইডব্লিউটিসি) মো. জামিল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে আজও হাজার হাজার মানুষ কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে বাড়ি ছুটছেন। অন্যদিকে কোনো রকম বিড়ম্বনায় যাতে না পড়তে হয়, সেকারণে কর্মস্থল রাজধানী ঢাকায় যোগ দিতে আগেভাগেই পারাপার হচ্ছেন অনেক যাত্রী।

এদিকে ফেরিঘাটে এসে বিপাকে পড়ছে যাত্রীরাও। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কেউ কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ ছোট ছোট যানবাহনে ৩ থেকে ৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন। তবে, মাদারীপুরের ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও তা ছিল অকার্যকর। ফলে অবাধে যাতায়াত করছে মানুষ। এরমধ্যে কোথাও কাউকেই মানতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্য বিধি।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ রাজধানী ঢাকার সাথে যাতায়াতের জন্য মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট ব্যবহার করেন। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করলেও ঈদে এর সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।