ই-পাসপোর্ট কি? এর সুবিধা নিয়ে ৭ তথ্য
- আপডেটের সময় : ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯
- / ৯৪৯ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ জুলাই মাস থেকে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট সুবিধা চালু করার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি শেষ। যেকোনো সময় ই-পাসপোর্ট চালুর বিষয়টি ঘোষণা করা হতে পারে।
কিন্তু জানেন কি? দেশের মানুষের জন্য এই ই-পাসপোর্টে কি সুবিধা হবে? এমনকি প্রচলিত পাসপোর্টের সঙ্গে এর পার্থক্য কী? ই-পাসপোর্ট সস্পর্কে সাত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ই-পাসপোর্ট কি?
বর্তমানে এমআরপি বা যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের বইও একই রকমের থাকবে। তবে যন্ত্রে পাসপোর্টের বইয়ে প্রথমে যে তথ্য সংবলিত দুইটি পাতা থাকে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে পালিমানের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা থাকবে। সেই কার্ডের ভেতরে চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্ট বাহকের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। আর ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরণের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। ফলে যেকোনো দেশের কর্তৃপক্ষ সহজেই ভ্রমণকারীর সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবেন।
এ ব্যাপারে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান জানান, এটি অত্যন্ত নিরাপত্তা সংবলিত একটি ব্যবস্থা। যে কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখন ই-পাসপোর্ট ব্যবহার শুরু করেছে। আমরাও সেই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছি।
এমআরপি আর ই-পাসপোর্টের পার্থক্য
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) আর ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) এর মধ্যে পার্থক্য হলো- এটা দেখতে অনেকটা চেকবই আর এটিএম কার্ডের মতো। চেকবই যেভাবে স্বাক্ষর যাচাইবাছাই করে ব্যাংক কর্মকর্তারা টাকা প্রদানের অনুমোদন দেন। তবে এটিএম কার্ড দিয়ে যে কেউ নিজে থেকেই টাকা তুলতে পারেন। তেমনি এমআরপি পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তথ্য যাচাই বাছাই করে পাসপোর্টে সিল দিয়ে থাকেন। কিন্তু ই-পাসপোর্টধারী যন্ত্রের মাধ্যমে নিজে থেকেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন। তবে পরবর্তী ধাপে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারাই পাসপোর্টে আগমণ অথবা বর্হিগমন সিল দেবেন।
ই-পাসপোর্টের সুবিধা কি?