ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

ইসিকে ২০ প্রস্তাব, কিছুটা আশাবাদী বিএনপি

দেশদিগন্ত :
  • আপডেটের সময় : ০২:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
  • / ৯৪৩ টাইম ভিউ

সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার গঠন ও সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরির প্রস্তাবসহ নির্বাচন কমিশনকে ২০ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বিএনপি।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশনের খুব বেশি কিছু করার নেই। তারপরও এই সংলাপের পর বিএনপি কিছুটা আশাবাদী তো বটেই।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, সংলাপে আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনও তাদের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেছে। তবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন ও সহায়ক সরকারের যে দাবির কথা তাদের বলেছি সেই ব্যাপারে কমিশন তাদের ক্ষমতার মধ্য থেকে কিছু করার চেষ্টা করবে বলে আমাদের জানিয়েছে।

সংলাপে ২০ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- নির্বাচনের জন্য সহায়ক সরকার নিশ্চিত করতে হবে। ভোটের আগে অবশ্যই সংসদ ভেঙে দিতে হবে, বিরোধী দলের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা আছে তা প্রত্যাহার করতে হবে, গুম খুন হয়রানি বন্ধ করতে হবে, ই-ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার করা যাবে না, সব রাজনৈতিক দলকে এখন থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে, সব দলের জন্য এখন থেকে সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরি করতে হবে, প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনের অন্তত সাত দিন আগে থেকে মোতায়েন করতে হবে, সিইসি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিলে হবে না পুরো ইসি বসে সিদ্ধান্ত নেবে এবং ৫৭ ধারা বাতিল করতে হবে।

এরআগে সকাল পৌনে ১১টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল নির্বাচন ভবনে পৌঁছায়। সকাল ১১টার দিকে সংলাপ শুরু হয়।

বিএনপির প্রতিনিধিদলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, তরিকুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাবেক সচিব আবদুল হালিম, ক্যাপ্টেন সুজাউদ্দিন, সাবেক শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ইসি। আগামী ১৮ অক্টোবর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে। পরের দিন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে ইসির সংলাপ শেষ হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

ইসিকে ২০ প্রস্তাব, কিছুটা আশাবাদী বিএনপি

আপডেটের সময় : ০২:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার গঠন ও সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরির প্রস্তাবসহ নির্বাচন কমিশনকে ২০ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বিএনপি।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশনের খুব বেশি কিছু করার নেই। তারপরও এই সংলাপের পর বিএনপি কিছুটা আশাবাদী তো বটেই।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, সংলাপে আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনও তাদের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেছে। তবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন ও সহায়ক সরকারের যে দাবির কথা তাদের বলেছি সেই ব্যাপারে কমিশন তাদের ক্ষমতার মধ্য থেকে কিছু করার চেষ্টা করবে বলে আমাদের জানিয়েছে।

সংলাপে ২০ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- নির্বাচনের জন্য সহায়ক সরকার নিশ্চিত করতে হবে। ভোটের আগে অবশ্যই সংসদ ভেঙে দিতে হবে, বিরোধী দলের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা আছে তা প্রত্যাহার করতে হবে, গুম খুন হয়রানি বন্ধ করতে হবে, ই-ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার করা যাবে না, সব রাজনৈতিক দলকে এখন থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে, সব দলের জন্য এখন থেকে সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরি করতে হবে, প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনের অন্তত সাত দিন আগে থেকে মোতায়েন করতে হবে, সিইসি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিলে হবে না পুরো ইসি বসে সিদ্ধান্ত নেবে এবং ৫৭ ধারা বাতিল করতে হবে।

এরআগে সকাল পৌনে ১১টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল নির্বাচন ভবনে পৌঁছায়। সকাল ১১টার দিকে সংলাপ শুরু হয়।

বিএনপির প্রতিনিধিদলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, তরিকুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাবেক সচিব আবদুল হালিম, ক্যাপ্টেন সুজাউদ্দিন, সাবেক শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ইসি। আগামী ১৮ অক্টোবর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে। পরের দিন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে ইসির সংলাপ শেষ হবে।