ঢাকা , সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম

ইলিশ এখন শুধুই বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ১০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০১৭
  • / ১৫৯৯ টাইম ভিউ

রুপালি ঝিলিক। জাদুকরি স্বাদ। নাম তার ইলিশ। সরষে ইলিশ, ইলিশ পাতুড়ি, ইলিশ ভাজা আরও কত কি! জামদানির পর এবার জাতীয় মাছ ইলিশ বাংলাদেশের মাছ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশ বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারাবিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন থেকে রুপালি ইলিশের একক মালিকানা বাংলাদেশের।
২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে ইলিশের একক মালিকানা পাওয়ার লক্ষ্যে জিআই নিবন্ধনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে মৎস্য অধিদফতর। এটি করা হয় আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব বিষয়ক সংস্থা ‘ওয়াইপিও’র পুরো শর্ত মেনে। বাংলাদেশে ইলিশের জন্ম ও বিস্তারসহ যাবতীয় তথ্য প্রমাণাদি পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর তথ্য প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ শেষে চলতি বছরের ১ জুন নিজস্ব জার্নালে ৪৯ পৃষ্ঠার একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতর। পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের রেজিস্ট্রার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আইন অনুসারে গেজেট প্রকাশিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে দেশে বা বিদেশ থেকে এ বিষয়ে আপত্তি জানাতে হয়। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি। সে অনুসারে এ পণ্য এখন বাংলাদেশের স্বত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন এটি চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের প্রক্রিয়াধীন আছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এর স্বত্ব মৎস্য অধিদফতরের কাছে তুলে দেওয়া হবে।’
বাংলাদেশের ইলিশের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। বর্তমানে ইলিশ পাওয়া যায় বিশ্বের এমন ১১টি দেশের মধ্যে ১০টিতেই উৎপাদন কমছে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিবছর উৎপাদন বাড়ছে প্রায় ১০ শতাংশ হারে। শুধু তাই নয়, এখন দেশের অনেক স্থানে অভয়াশ্রম ছাড়াও ইলিশে মাছ ধরা পড়ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, বিশ্বে প্রতিবছর ৫ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরিত হয়। এর ৬০ শতাংশই বাংলাদেশে। অন্যদিকে, দেশে মোট মৎস্য উৎপাদনে এককভাবে ইলিশের অবদানই প্রায় ১৫ শতাংশ। আর মোট দেশজ উৎপাদনেও (জিডিপি) এ খাতের অবদান ১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় একটি বাধা দূর হলো। জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশ নিবন্ধিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এর কদর আরও বাড়বে ।
এ বিষয়ে মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় ইলিশ বিপণনের ক্ষেত্রে স্বত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে। এর ফলে বর্তমানের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি দাম পাবেন জেলেরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইলিশ বাংলাদেশের সস্পদ ও আমাদের জাতীয় মাছ।’

পোস্ট শেয়ার করুন

ইলিশ এখন শুধুই বাংলাদেশের

আপডেটের সময় : ১০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০১৭

রুপালি ঝিলিক। জাদুকরি স্বাদ। নাম তার ইলিশ। সরষে ইলিশ, ইলিশ পাতুড়ি, ইলিশ ভাজা আরও কত কি! জামদানির পর এবার জাতীয় মাছ ইলিশ বাংলাদেশের মাছ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশ বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারাবিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন থেকে রুপালি ইলিশের একক মালিকানা বাংলাদেশের।
২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে ইলিশের একক মালিকানা পাওয়ার লক্ষ্যে জিআই নিবন্ধনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে মৎস্য অধিদফতর। এটি করা হয় আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব বিষয়ক সংস্থা ‘ওয়াইপিও’র পুরো শর্ত মেনে। বাংলাদেশে ইলিশের জন্ম ও বিস্তারসহ যাবতীয় তথ্য প্রমাণাদি পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর তথ্য প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ শেষে চলতি বছরের ১ জুন নিজস্ব জার্নালে ৪৯ পৃষ্ঠার একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতর। পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের রেজিস্ট্রার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আইন অনুসারে গেজেট প্রকাশিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে দেশে বা বিদেশ থেকে এ বিষয়ে আপত্তি জানাতে হয়। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি। সে অনুসারে এ পণ্য এখন বাংলাদেশের স্বত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন এটি চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের প্রক্রিয়াধীন আছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এর স্বত্ব মৎস্য অধিদফতরের কাছে তুলে দেওয়া হবে।’
বাংলাদেশের ইলিশের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। বর্তমানে ইলিশ পাওয়া যায় বিশ্বের এমন ১১টি দেশের মধ্যে ১০টিতেই উৎপাদন কমছে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিবছর উৎপাদন বাড়ছে প্রায় ১০ শতাংশ হারে। শুধু তাই নয়, এখন দেশের অনেক স্থানে অভয়াশ্রম ছাড়াও ইলিশে মাছ ধরা পড়ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, বিশ্বে প্রতিবছর ৫ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরিত হয়। এর ৬০ শতাংশই বাংলাদেশে। অন্যদিকে, দেশে মোট মৎস্য উৎপাদনে এককভাবে ইলিশের অবদানই প্রায় ১৫ শতাংশ। আর মোট দেশজ উৎপাদনেও (জিডিপি) এ খাতের অবদান ১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় একটি বাধা দূর হলো। জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশ নিবন্ধিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এর কদর আরও বাড়বে ।
এ বিষয়ে মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় ইলিশ বিপণনের ক্ষেত্রে স্বত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে। এর ফলে বর্তমানের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি দাম পাবেন জেলেরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইলিশ বাংলাদেশের সস্পদ ও আমাদের জাতীয় মাছ।’