আড়াই ঘন্টা চেষ্টায় মেডলারের আগুন নিয়ন্ত্রনে
- আপডেটের সময় : ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭
- / ১৫৭৮ টাইম ভিউ
আশুলিয়ায় নরসিংহপুর এলাকায় সিনহা গ্রুপের মেডলার এ্যাপারেলস পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ৮ তলা ভবনের ২য় তলায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় রাতের শিফটে কারখানায় কর্মরত কয়েকশত শ্রমিক আতংকে কারখানাটির ছাদে অবস্থান নেয়। আগুন আতংকে কারখানা থেকে তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে আহত হয়েছে অন্তত ২০ শ্রমিক। আহতদের স্থানীয় নারী ও শিশু হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে মেডলার এ্যাপালেসে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের খবর আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের আশাপাশের পোশাক কারখানা গুলোতে ছড়িয়ে পড়লে নাইট শিফটে কর্মরত শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে কারখানা থেকে বেরিয়ে যায়। আশেপাশের সকল কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। একযোগে শ্রমিকরা রাস্তায় বেরিয়ে এলে টঙ্গি-আশুলিয়া সড়কে দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় মহাসড়কে যান চলাচল।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কারখানা সূত্রে জানা গেছে, মেডলার এ্যাপারেল্স পোশাক কারখানায় শনিবার রাতের শিফটের কাজ করছিল প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। হঠাৎ আটতলা ভবনটির ২ তলায় আগুন লাগে। এ সময় শ্রমিকরা আগুন আতংকে কারখানা থেকে দ্রুত বেরিয়ে যায়। এতে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ২০/২৫ জন শ্রমিক আহত হয়। কিন্তু ৩ তলা থেকে ৮তলা পর্যন্ত যে সকল শ্রমিক কাজ করছিল তারা নিচে নামতে না পেয়ে ওই ভবনে আটকা পড়ে।
এদিকে আগুনের লেলিহান শিখা ২ তলার পুরো ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়লে আটকা পড়া শ্রমিকরা আর্তচিৎকার করতে থাকে। এক পর্যাযে ওই সকল শ্রমিক কারখানাটির ছাদের উপর অবস্থান নিয়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে।
খবর পেয়ে আশুলিয়ার ডিইপিজেড, সাভার, কালিয়াকৈর, ধামরাই, টঙ্গি, গাজীপুর ও ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা একদিকে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টার করে এবং অন্য দিকে উচু মই দিয়ে ভবনের ছাদের ওপর থেকে শ্রমিকদের নিচে নামিয়ে আনে। এভাবে প্রায় আড়াই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মামুন জানান, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। আগুনে বড় ধরনের কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কয়েকজন শ্রমিক তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে আহত হয়েছে। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।