ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

আমরা মনসুরকে চিনে উঠতে পারিনি, জাতির কাছে ক্ষমা চাই

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০১৯
  • / ১৩২১ টাইম ভিউ

ঢাকা- জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সুলতান মনসুরকে ঠিক চিনে উঠতে পারিনি ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম সাধারণ সম্পাক মোস্তফা মোহসিন মন্টু এ কথা জানান।

এদিন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। একই সঙ্গে তাঁকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এসময় জাতির কাছে ক্ষমা চান দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু। তিনি বলেন, কারো মনের কথা তো বোঝা যায় না। আমরা উনাকে ঠিক চিনে উঠতে পারিনি!

মন্টু বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা জাতির কাছে যে ওয়াদা করেছি তা রাখতে পারিনি। এজন্য আমরা জাতির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।

শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিচ্ছি, সুলতান মনসুরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে গণফোরামের এই নেতা বলেন, আমাদের দলের নেতা ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমিসহ সকলে বৈঠক করে তাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মোস্তাফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘সুলতান মনসুর গণফোরামের সদস্য হওয়ার আবেদন পত্রে দলের গঠনতন্ত্র, কর্মসূচি, নিয়মকানুন, আদেশ-নির্দেশ মেনে চলার অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি আজ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে প্রহসনের নির্বাচনের জাতীয় সংসদে সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি গণফোরামের গণমুখী আদর্শের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি শপথ নেওয়ায় দল, জনগণ এবং ঐক্যফ্রন্ট মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। আমরা তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করছি। একই সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য পদ হতে অব্যাহতি দিচ্ছি।’

উল্লেখ্য, এর আগে বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে শপথ নেন গণফোরাম থেকে নির্বাচিত এক সময়ের আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মনসুর।

সুলতান মনসুর ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর থেকেই শপথ নেওয়ার পক্ষে ছিলেন তিনি।

ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর এক সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে তিনি কামাল হোসেনের গণফোরামে আসেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

আমরা মনসুরকে চিনে উঠতে পারিনি, জাতির কাছে ক্ষমা চাই

আপডেটের সময় : ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০১৯

ঢাকা- জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সুলতান মনসুরকে ঠিক চিনে উঠতে পারিনি ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম সাধারণ সম্পাক মোস্তফা মোহসিন মন্টু এ কথা জানান।

এদিন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। একই সঙ্গে তাঁকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এসময় জাতির কাছে ক্ষমা চান দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু। তিনি বলেন, কারো মনের কথা তো বোঝা যায় না। আমরা উনাকে ঠিক চিনে উঠতে পারিনি!

মন্টু বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা জাতির কাছে যে ওয়াদা করেছি তা রাখতে পারিনি। এজন্য আমরা জাতির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।

শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিচ্ছি, সুলতান মনসুরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে গণফোরামের এই নেতা বলেন, আমাদের দলের নেতা ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমিসহ সকলে বৈঠক করে তাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মোস্তাফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘সুলতান মনসুর গণফোরামের সদস্য হওয়ার আবেদন পত্রে দলের গঠনতন্ত্র, কর্মসূচি, নিয়মকানুন, আদেশ-নির্দেশ মেনে চলার অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি আজ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে প্রহসনের নির্বাচনের জাতীয় সংসদে সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি গণফোরামের গণমুখী আদর্শের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি শপথ নেওয়ায় দল, জনগণ এবং ঐক্যফ্রন্ট মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। আমরা তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করছি। একই সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য পদ হতে অব্যাহতি দিচ্ছি।’

উল্লেখ্য, এর আগে বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে শপথ নেন গণফোরাম থেকে নির্বাচিত এক সময়ের আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মনসুর।

সুলতান মনসুর ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর থেকেই শপথ নেওয়ার পক্ষে ছিলেন তিনি।

ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর এক সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে তিনি কামাল হোসেনের গণফোরামে আসেন।