ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

আতঙ্কে বিএনপির সুবিধাবাদী নেতারা

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯
  • / ৪১২ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত ডেস্ক: ভোটে নেতা নির্বাচনের মাধ্যমে দল পুনর্গঠনের উদ্যোগে বিএনপির সুবিধাবাদী নেতারা আতঙ্কে আছেন। এতদিন দলের হাইকমান্ডসহ কিছু সিনিয়র নেতা গুডবুকে নাম থাকলে নেতা হতে আর তেমন কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন ছিল না। এখন নেতা হতে হলে নেতৃত্বের সব গুণ থাকার পাশাপাশি দলে জনপ্রিয়তাও থাকতে হবে। এজন্য দলের সুবিধাবাদী নেতারা নেতৃত্ব ধরে রাখা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। বিএনপির দুর্দিনে ত্যাগ স্বীকারকারী সিনিয়র এক নেতা বলেন, দলের দুর্দিনে পালিয়ে গেছেন, অন্যদলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, নেতাকর্মীদের কোনো খবর রাখেননি, নিজে মামলা থেকে বাঁচার জন্য ও ব্যবসা-সম্পদ রক্ষার্থে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাত করেছেন, দল ক্ষমতায় থাকাকালে পেছনের পথে অবৈধ অর্থ কামিয়েছেন, এমন অনেকে আছেন যারা দল ও জনগণকে ধোঁকা দিয়ে বিগত সময়ে নেতা হয়েছেন। দলের কয়েক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় সাংগঠনিক কোনো কাজ না করেও বছরের পর বছর নেতার আসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এক বিভাগের নেতা যার সঙ্গে অন্য বিভাগের নেতাকর্মীদের কোনো যোগাযোগ নেই তাকেও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হতে দেখা গেছে। এসব অনিয়মই বর্তমান বিপর্যয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী বলে নেতাকর্মীরা মনে করেন। বিষয়টি দলের হাইকমান্ডও উপলব্ধি করেছেন। এজন্য আর কোনো সুবিধাবাদী যাতে নেতৃত্বে আসতে না পারেন সে উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনই নয়, কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীও ঠিক করার চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চরম বিপর্যয়ের পর সংগঠনকে গোছানোর উদ্যোগ নেয় বিএনপি। প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন স্তরের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করার কথা ভাবা হয়। এজন্য নতুন করে কাদের নেতৃত্বে আনা যায় তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সিনিয়র কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। বিগত সময়ে একটি সংগঠনের কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া দলের এক নেতা তাকে সবস্তরের কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী পরবর্তী কমিটিগুলো কাউন্সিলের মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা নির্বাচনের বিষয়টিও ভোটের মাধ্যমে করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, শীর্ষ নেতার আশীর্বাদ এবং কমিটি বাণিজ্যের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হওয়ার খেসারত দিতে হয়েছে পদে পদে। এজন্য এখন থেকে ভোট ছাড়া আর কেউ নেতা হোক তা চাচ্ছেন না দলের হাইকমান্ড। কোনো অবস্থাতেই এ প্রক্রিয়া থেকে সরেও যেতে চান না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এর প্রমাণ দেখা যায়, ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়টিতে। কাউন্সিল ছাড়া নেতা নির্বাচনের অন্যায় দাবি মানেননি হাইকমান্ড। এজন্য ২৭ বছর পর এবার কাউন্সিলের মাধ্যমেই নেতা নির্বাচিত হবে। বিএনপির সূত্রমতে, দল ও মানুষের জন্য ত্যাগ স্বীকারের পাশাপাশি দলের নীতি, আদর্শ, বর্তমান-ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব, শক্তি, দুর্বলতা, গঠনতন্ত্র ও পরিচালনা পদ্ধতি, সরকারি-বেসরকারি পলিসি, আইন ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞানসমৃদ্ধদের নেতৃত্ব দেখতে চান বিএনপির হাইকমান্ড। দলের কাঁধে ভর করে নিজের স্বার্থসিদ্ধিতে কাজ করাদের আর নেতৃত্বে রাখতে চান না তিনি। আর নতুন নেতৃত্ব তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করতে বিলম্বও করতে চান না। কিন্তু সত্যিকারের সৎ, ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান নেতৃত্ব সৃষ্টির পদক্ষেপে বাদ সাধছেন সুবিধাবাদী নেতারা। তারা এখনই নেতৃত্ব পরিবর্তনের উপযুক্ত সময় নয় বলে হাইকমান্ডকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তারা হাইকান্ডকে বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির পর বিএনপি গোছাতে হবে। নইলে যে কোনো ধরনের বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। অবশ্য সুবিধাবাদীদের বিপক্ষে থাকা নেতাদের যুক্তি হচ্ছে, আর কোনো বিপর্যয়ের বাকি আছে বলে তারা মনে করেন না। এজন্য খালেদা জিয়ার অনুমতি নিয়ে এখনই বিএনপিকে গোছাতে হবে। দল পুনর্গঠন করেই তার মুক্তি আন্দোলন ত্বরান্বিত করতে হবে। তাহলে নতুন নির্বাচনের দাবি আদায় করাও সহজ হবে। জানা গেছে, বিএনপির তৃণমূল থেকে নেতা নির্বাচিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা, পৌর, জেলা-মহানগরে কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটি হবে। এরপর বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জন্য একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে। ছাত্রদলের পরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক, শ্রমিক দলসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নির্বাচিত নেতাদের মাধ্যমেই কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। সূত্রমতে, কাউন্সিলের মাধ্যমে সমর্থিত, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন পুনর্গঠন করার পরই জাতীয় কাউন্সিল করতে চায় বিএনপি। আগামী ডিসেম্বরের মূল দলের কাউন্সিল করার লক্ষ্য রেখে জেলা পর্যায়ের কমিটিসহ সব কমিটি গঠনে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ৮২টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ইতোমধ্যে ৩৩ জেলার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কাজ করে যাচ্ছেন। দল পুনর্গঠন এবং পরে নেতা নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি পুনর্গঠনের কাজ চলছে। কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে এখন থেকে নেতা নির্বাচিত হবেন। বিভিন্ন সংগঠনে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

আতঙ্কে বিএনপির সুবিধাবাদী নেতারা

আপডেটের সময় : ০৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯

দেশদিগন্ত ডেস্ক: ভোটে নেতা নির্বাচনের মাধ্যমে দল পুনর্গঠনের উদ্যোগে বিএনপির সুবিধাবাদী নেতারা আতঙ্কে আছেন। এতদিন দলের হাইকমান্ডসহ কিছু সিনিয়র নেতা গুডবুকে নাম থাকলে নেতা হতে আর তেমন কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন ছিল না। এখন নেতা হতে হলে নেতৃত্বের সব গুণ থাকার পাশাপাশি দলে জনপ্রিয়তাও থাকতে হবে। এজন্য দলের সুবিধাবাদী নেতারা নেতৃত্ব ধরে রাখা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। বিএনপির দুর্দিনে ত্যাগ স্বীকারকারী সিনিয়র এক নেতা বলেন, দলের দুর্দিনে পালিয়ে গেছেন, অন্যদলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, নেতাকর্মীদের কোনো খবর রাখেননি, নিজে মামলা থেকে বাঁচার জন্য ও ব্যবসা-সম্পদ রক্ষার্থে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাত করেছেন, দল ক্ষমতায় থাকাকালে পেছনের পথে অবৈধ অর্থ কামিয়েছেন, এমন অনেকে আছেন যারা দল ও জনগণকে ধোঁকা দিয়ে বিগত সময়ে নেতা হয়েছেন। দলের কয়েক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় সাংগঠনিক কোনো কাজ না করেও বছরের পর বছর নেতার আসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এক বিভাগের নেতা যার সঙ্গে অন্য বিভাগের নেতাকর্মীদের কোনো যোগাযোগ নেই তাকেও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হতে দেখা গেছে। এসব অনিয়মই বর্তমান বিপর্যয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী বলে নেতাকর্মীরা মনে করেন। বিষয়টি দলের হাইকমান্ডও উপলব্ধি করেছেন। এজন্য আর কোনো সুবিধাবাদী যাতে নেতৃত্বে আসতে না পারেন সে উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনই নয়, কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীও ঠিক করার চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চরম বিপর্যয়ের পর সংগঠনকে গোছানোর উদ্যোগ নেয় বিএনপি। প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন স্তরের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করার কথা ভাবা হয়। এজন্য নতুন করে কাদের নেতৃত্বে আনা যায় তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সিনিয়র কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। বিগত সময়ে একটি সংগঠনের কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া দলের এক নেতা তাকে সবস্তরের কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী পরবর্তী কমিটিগুলো কাউন্সিলের মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা নির্বাচনের বিষয়টিও ভোটের মাধ্যমে করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, শীর্ষ নেতার আশীর্বাদ এবং কমিটি বাণিজ্যের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হওয়ার খেসারত দিতে হয়েছে পদে পদে। এজন্য এখন থেকে ভোট ছাড়া আর কেউ নেতা হোক তা চাচ্ছেন না দলের হাইকমান্ড। কোনো অবস্থাতেই এ প্রক্রিয়া থেকে সরেও যেতে চান না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এর প্রমাণ দেখা যায়, ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়টিতে। কাউন্সিল ছাড়া নেতা নির্বাচনের অন্যায় দাবি মানেননি হাইকমান্ড। এজন্য ২৭ বছর পর এবার কাউন্সিলের মাধ্যমেই নেতা নির্বাচিত হবে। বিএনপির সূত্রমতে, দল ও মানুষের জন্য ত্যাগ স্বীকারের পাশাপাশি দলের নীতি, আদর্শ, বর্তমান-ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব, শক্তি, দুর্বলতা, গঠনতন্ত্র ও পরিচালনা পদ্ধতি, সরকারি-বেসরকারি পলিসি, আইন ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞানসমৃদ্ধদের নেতৃত্ব দেখতে চান বিএনপির হাইকমান্ড। দলের কাঁধে ভর করে নিজের স্বার্থসিদ্ধিতে কাজ করাদের আর নেতৃত্বে রাখতে চান না তিনি। আর নতুন নেতৃত্ব তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করতে বিলম্বও করতে চান না। কিন্তু সত্যিকারের সৎ, ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান নেতৃত্ব সৃষ্টির পদক্ষেপে বাদ সাধছেন সুবিধাবাদী নেতারা। তারা এখনই নেতৃত্ব পরিবর্তনের উপযুক্ত সময় নয় বলে হাইকমান্ডকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তারা হাইকান্ডকে বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির পর বিএনপি গোছাতে হবে। নইলে যে কোনো ধরনের বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। অবশ্য সুবিধাবাদীদের বিপক্ষে থাকা নেতাদের যুক্তি হচ্ছে, আর কোনো বিপর্যয়ের বাকি আছে বলে তারা মনে করেন না। এজন্য খালেদা জিয়ার অনুমতি নিয়ে এখনই বিএনপিকে গোছাতে হবে। দল পুনর্গঠন করেই তার মুক্তি আন্দোলন ত্বরান্বিত করতে হবে। তাহলে নতুন নির্বাচনের দাবি আদায় করাও সহজ হবে। জানা গেছে, বিএনপির তৃণমূল থেকে নেতা নির্বাচিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা, পৌর, জেলা-মহানগরে কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটি হবে। এরপর বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জন্য একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে। ছাত্রদলের পরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক, শ্রমিক দলসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নির্বাচিত নেতাদের মাধ্যমেই কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। সূত্রমতে, কাউন্সিলের মাধ্যমে সমর্থিত, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন পুনর্গঠন করার পরই জাতীয় কাউন্সিল করতে চায় বিএনপি। আগামী ডিসেম্বরের মূল দলের কাউন্সিল করার লক্ষ্য রেখে জেলা পর্যায়ের কমিটিসহ সব কমিটি গঠনে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ৮২টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ইতোমধ্যে ৩৩ জেলার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কাজ করে যাচ্ছেন। দল পুনর্গঠন এবং পরে নেতা নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি পুনর্গঠনের কাজ চলছে। কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে এখন থেকে নেতা নির্বাচিত হবেন। বিভিন্ন সংগঠনে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।