ঢাকা , রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন

আজ মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ
  • আপডেটের সময় : ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ১১২৮ টাইম ভিউ

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের একটি ঐতিহাসিক স্মরণীয় দিন। এই দিনে পাকাহানাদারদের পরাজিত করে মৌলভীবাজারকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়। একাত্তরের এই দিনে  মৌলভীবাজার শহর তথা জেলার সর্বত্র  স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা ওড়তে থাকে। পাক হানাদারবাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা মৌলভীবাজারকে শত্রুমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষনা করেন। দিনটি স্মরণে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আজিজুর রহমান ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন এই এলাকায় জেড ফোর্সের সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন। ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় আক্রমণ আরও তীব্র করে। ৪ ডিসেম্বর জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। ৫ ডিসেম্বর জেলার সর্বত্র শুরু হয় তীব্র আক্রমণ। জেলার চারদিক দিকে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে একের পর এক এলাকা শত্রুমুক্ত হতে থাকে। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দুই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও মুন্সীবাজার এলাকামুক্ত করে  মৌলভীবাজার শহর অভিমুখে আসার জন্য অভিযান শুরু করেন। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর  মিত্র ও মুক্তিবাহিনী শহর ঘেরাও করে। এখানে মহকুমা হেড কোয়ার্টার থাকার কারণে পাকবাহিনীর বিগ্রেড হেড কোয়ার্টার ছিল। জেড ফোর্সের ১৭টি ইউনিটের মধ্যে ২টি ইউনিট কুলাউড়ার দিকে গেলেও বাকি ১৫ টি ইউনিট নিয়ে তারা মৌলভীবাজার শহরে ঢুকার চেষ্টা শুরু করেন। তুমুল যুদ্ধ আর অনেক হতাহতের পর ৭ ডিসেম্বরই মৌলভীবাজার পুরো মহকুমা এলাকা থেকে পাকবাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে ঢুকেন। কিন্তু শহরের বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনী প্রচুর মাইনসহ অস্ত্র পুতে রাখায় এগুলো অপসারণ ও নিষক্রিয় করার পর ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়।  দিবসটি স্মরণে জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি স্মৃতিচারণ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনী ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের উপর চলচিত্র প্রদর্শনী হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা ।

পোস্ট শেয়ার করুন

আজ মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস

আপডেটের সময় : ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের একটি ঐতিহাসিক স্মরণীয় দিন। এই দিনে পাকাহানাদারদের পরাজিত করে মৌলভীবাজারকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়। একাত্তরের এই দিনে  মৌলভীবাজার শহর তথা জেলার সর্বত্র  স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা ওড়তে থাকে। পাক হানাদারবাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা মৌলভীবাজারকে শত্রুমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষনা করেন। দিনটি স্মরণে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আজিজুর রহমান ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন এই এলাকায় জেড ফোর্সের সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন। ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় আক্রমণ আরও তীব্র করে। ৪ ডিসেম্বর জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। ৫ ডিসেম্বর জেলার সর্বত্র শুরু হয় তীব্র আক্রমণ। জেলার চারদিক দিকে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে একের পর এক এলাকা শত্রুমুক্ত হতে থাকে। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দুই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও মুন্সীবাজার এলাকামুক্ত করে  মৌলভীবাজার শহর অভিমুখে আসার জন্য অভিযান শুরু করেন। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর  মিত্র ও মুক্তিবাহিনী শহর ঘেরাও করে। এখানে মহকুমা হেড কোয়ার্টার থাকার কারণে পাকবাহিনীর বিগ্রেড হেড কোয়ার্টার ছিল। জেড ফোর্সের ১৭টি ইউনিটের মধ্যে ২টি ইউনিট কুলাউড়ার দিকে গেলেও বাকি ১৫ টি ইউনিট নিয়ে তারা মৌলভীবাজার শহরে ঢুকার চেষ্টা শুরু করেন। তুমুল যুদ্ধ আর অনেক হতাহতের পর ৭ ডিসেম্বরই মৌলভীবাজার পুরো মহকুমা এলাকা থেকে পাকবাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে ঢুকেন। কিন্তু শহরের বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনী প্রচুর মাইনসহ অস্ত্র পুতে রাখায় এগুলো অপসারণ ও নিষক্রিয় করার পর ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়।  দিবসটি স্মরণে জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি স্মৃতিচারণ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনী ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের উপর চলচিত্র প্রদর্শনী হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা ।