আজহারীর সব মাহফিল স্থগিত
- আপডেটের সময় : ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ৫১২ টাইম ভিউ
আলোচিত ইসলামী বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসির মাহফিলের সব কর্মসূচি আগামী মার্চ স্থগিত করা হয়েছে। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে, এখানেই এ বছরের তাফসির প্রোগ্রামের ইতি টানতে হচ্ছে। তাই, মার্চ পর্যন্ত আমার বাকি প্রোগ্রামগুলো স্থগিত করা হলো। রিসার্চের কাজে আবারও মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিলে, আবারও দেখা হবে ও কথা হবে কুরআনের মাহফিলে, ইনশাআল্লাহ।
মাহফিলের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রোগ্রামগুলো বাস্তবায়নে যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবার জন্য রইল আন্তরিক ভালোবাসা ও দোয়া। বিশেষ করে পুলিশ, প্রশাসন এবং স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রোগ্রামগুলো সুন্দরভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তাদের উত্তম প্রতিদান দান করুক।তিনি আরও বলেন, এ বছর বেশীর ভাগ প্রোগ্রামেই পারিবারিক ও সামাজিক ক্রাইসিস নিয়ে কথা বলেছি, পাশাপাশি কয়েকটি সূরার তাফসিরও করেছি। আশা করি, আলোচনাগুলো থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। পরিবারের সবাই মিলে আলোচনাগুলো শুনুন এবং কথাগুলো বাস্তব জীবনে মেনে চলার চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন, ধীরে ধীরে আমাদের পরিবার ও সমাজ সুখময় এবং শান্তিময় হয়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি উল্লেখ করেন, আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে, দেশের আপামর জনতার যে ভালোবাসা পেয়েছি, জানিনা সিজদায় পড়ে কতটুকু অশ্রু ঝরালে এবং কোন ভাষায় শোকরগোজার হলে এর যথাযথ শুকরিয়া আদায় হবে। মালিকের দরবারে আলীশানে লাখো কোটি শুকর এবং সুজুদ। ওয়ালহামদু লিল্লাহি ‘আলান্নি’আম।
আজহারী বলেন, আমি একজন নগন্য মানুষ। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের ছাত্র। কুরআনের ছাত্র হয়েই বেঁচে থাকতে চাই ও নিরলস কাজ করে যেতে চাই। তাই সুপ্রিয় শ্রোতাদের বলবো, প্লিজ আমাকে নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি করবেন না। আমাকে জড়িয়ে কোনো ব্যাপারে কাউকে গালাগালি করবেন না, অন্য কোনো মতাদর্শের আলেমদের হেয় বা ছোটো করে কিছু বলতে যাবেন না। যদিও তাদের কেউ কখনো আমাকে ছোটো করে কথা বলেন। অনুরূপভাবে, কোথাও আমাকে ডিফেন্ড করে তর্ক বা কমেন্ট করতে চাইলে, ভদ্রতা বজায় রেখে, যৌক্তিকভাবে এবং বিনয়ের সঙ্গে সেটা করুন। সত্য একদিন উন্মোচিত হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, আমার এ জীবনের ছোট্ট অভিজ্ঞতায় যা দেখলাম, সেটা হলো: আমরা আমাদের জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়ে দেই অন্যকে হিংসা করতে করতে। নিজেরা কাজ না করে অন্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে আমরা মহাব্যস্ত। আসলে, অপপ্রচার করে তেমন কোনো লাভ নেই। অপপ্রচারে আমি কখনো মন:ক্ষুন্ন হইনা। আমার বিশ্বাস আপনারাও হবেন না। কারণ, অপপ্রচারগুলোই আমাদের প্রচারণার দায়িত্ব পালন করেছে, আলহামদুলিল্লাহ। হক্বের পথে বাধা-বিপত্তি আসবেই। এটাই স্বাভাবিক। যে পথে কাঁটা নেই সেটা পথ নয়, সেটা কার্পেট। আর কার্পেটে হেঁটে মজলিশে পৌঁছানো যায়, মনজিলে নয়।
মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারেনা। তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহ…