ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

আগামীকাল ঢাকায় আসছেন নেদারল্যান্ডসের রানি

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০১৯
  • / ৪৭৪ টাইম ভিউ

বাংলাদেশে আসছেন নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতি। আগামীকাল বিকেলে ঢাকা পৌঁছাবেন রানী ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতি। তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেজের ইনক্লুসিভ ফাইনান্স ফর ডেভেলপমেন্টবিষয়ক স্পেশাল অ্যাডভোকেট।

ঢাকা সফরে ডাচ রানী জাতিসংঘের টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, রানী ম্যাক্সিমার ঢাকা অবতরণের আগে আগামী ৮ জুলাই বাংলাদেশ পৌঁছাবে তার বিশেষ নিরাপত্তা দল এবং অন্যান্য সহায়তাকারী দল। ঢাকা সফরকালে বিশেষ নিরাপত্তা পাবেন ডাচ রানী। আগামী ১১ জুলাই রানী ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতির ঢাকা সফর শেষ হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন রানী ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতি। সফরসূচি অনুযায়ী, ঢাকা অবস্থানকালে ডাচ রানী হোটেল সোনারগাঁওয়ে অবস্থান করবেন।

৯ জুলাই বিকেলে রানী ম্যাক্সিমা সরাসরি হোটেল যাবেন। ১০ জুলাই সকাল থেকে ব্যস্ত সময় পার করবেন তিনি। সকালে ডেলিগেশন ব্রিফিংয়ের পর ঢাকায় জাতিসংঘ প্রধান কার্যালয়ে যাবেন। সেখানে একটি গোলটেবিলে অংশ নেবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ঢাকা সফর সমাপ্তের আগে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

রানী ম্যাক্সিমা বেশ কিছু কার্যালয় ও কার্যক্রম পরিদর্শন ছাড়াও বেসরকারি খাত এবং উন্নয়ন সহযোগী অংশীদার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আসছেন ডাচ রানী ও জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেজের ইনক্লুসিভ ফাইনান্স ফর ডেভেলপমেন্টবিষয়ক স্পেশাল অ্যাডভোকেট। তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করেন।

‘তিনি মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় আর্থিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি এখন সমাজের দরিদ্র শ্রেণি যাতে নিরাপদ আর্থিক সেবা পেতে পারে সে বিষয়ে কাজ করছেন। টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার জন্য অর্থনৈতিক সেবা নিয়ে তিনি অ্যাডভোকেসি করেন। তবে বিশেষ কোনো একক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশ আসছেন না,’ বলেন এ কর্মকর্তা।

ইউএনডিপি সূত্র জানায়, শুধু ক্ষুদ্র ঋণ নয় আর্থিক খাতের সার্বিক উন্নতির জন্য প্রয়োজন স্থিতিশীলতা, সততা, ভোগ্যপণ্য উৎপাদন, আর্থিক উত্তরসূরিতা, ক্ষুদ্র ঋণ, ডিজিটাল অর্থায়ন, ব্যাংকসহ সকল বিষয়গলো। এ সকল বিষয়গুলো কীভাবে দেশগুলোর জাতীয় কৌশলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে তা নিয়ে কাজ করছেন রানী ম্যাক্সিমা। এছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রেমিট্যান্স লেনদেনে খরচ কমিয়ে আনা নিয়ে কাজ করছে জাতিসংঘ।

বর্তমানে বিশ্বে রেমিট্যান্স লেনদেনে খরচ ৮ থেকে ১০ শতাংশ হয়ে থাকে। তা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোথায় খরচগুলো হচ্ছে তা চিহ্নত করা নিয়ে কাজ করছে জাতিসংঘ। রানীর বাংলাদেশ সফর বিশ্বের সকল মানুষকে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির সচেতনতা তৈরির প্রয়াসের একটি অংশ।

দারিদ্র্য দূরীকরণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নের মতো বিষয়গুলোতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনে ২০৩০ এর টেকশই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্থনৈতিক সেবায় যুক্ত হওয়া জরুরি।

জানা গেছে, উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স ফর ডেভেলপমেন্ট-বিষয়ক বিশেষ পরামর্শক হিসেবে রানী ম্যাক্সিমাকে ২০০৯ সালে নিয়োগ দেন তৎকালীন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য নিরসন, খাদ্য নিরাপত্তা ও শিক্ষার মতো উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডাচ রানী ব্যাপক জনসচেনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

আগামীকাল ঢাকায় আসছেন নেদারল্যান্ডসের রানি

আপডেটের সময় : ০২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০১৯

বাংলাদেশে আসছেন নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতি। আগামীকাল বিকেলে ঢাকা পৌঁছাবেন রানী ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতি। তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেজের ইনক্লুসিভ ফাইনান্স ফর ডেভেলপমেন্টবিষয়ক স্পেশাল অ্যাডভোকেট।

ঢাকা সফরে ডাচ রানী জাতিসংঘের টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, রানী ম্যাক্সিমার ঢাকা অবতরণের আগে আগামী ৮ জুলাই বাংলাদেশ পৌঁছাবে তার বিশেষ নিরাপত্তা দল এবং অন্যান্য সহায়তাকারী দল। ঢাকা সফরকালে বিশেষ নিরাপত্তা পাবেন ডাচ রানী। আগামী ১১ জুলাই রানী ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতির ঢাকা সফর শেষ হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন রানী ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতি। সফরসূচি অনুযায়ী, ঢাকা অবস্থানকালে ডাচ রানী হোটেল সোনারগাঁওয়ে অবস্থান করবেন।

৯ জুলাই বিকেলে রানী ম্যাক্সিমা সরাসরি হোটেল যাবেন। ১০ জুলাই সকাল থেকে ব্যস্ত সময় পার করবেন তিনি। সকালে ডেলিগেশন ব্রিফিংয়ের পর ঢাকায় জাতিসংঘ প্রধান কার্যালয়ে যাবেন। সেখানে একটি গোলটেবিলে অংশ নেবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ঢাকা সফর সমাপ্তের আগে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

রানী ম্যাক্সিমা বেশ কিছু কার্যালয় ও কার্যক্রম পরিদর্শন ছাড়াও বেসরকারি খাত এবং উন্নয়ন সহযোগী অংশীদার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আসছেন ডাচ রানী ও জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেজের ইনক্লুসিভ ফাইনান্স ফর ডেভেলপমেন্টবিষয়ক স্পেশাল অ্যাডভোকেট। তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করেন।

‘তিনি মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় আর্থিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি এখন সমাজের দরিদ্র শ্রেণি যাতে নিরাপদ আর্থিক সেবা পেতে পারে সে বিষয়ে কাজ করছেন। টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার জন্য অর্থনৈতিক সেবা নিয়ে তিনি অ্যাডভোকেসি করেন। তবে বিশেষ কোনো একক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশ আসছেন না,’ বলেন এ কর্মকর্তা।

ইউএনডিপি সূত্র জানায়, শুধু ক্ষুদ্র ঋণ নয় আর্থিক খাতের সার্বিক উন্নতির জন্য প্রয়োজন স্থিতিশীলতা, সততা, ভোগ্যপণ্য উৎপাদন, আর্থিক উত্তরসূরিতা, ক্ষুদ্র ঋণ, ডিজিটাল অর্থায়ন, ব্যাংকসহ সকল বিষয়গলো। এ সকল বিষয়গুলো কীভাবে দেশগুলোর জাতীয় কৌশলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে তা নিয়ে কাজ করছেন রানী ম্যাক্সিমা। এছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রেমিট্যান্স লেনদেনে খরচ কমিয়ে আনা নিয়ে কাজ করছে জাতিসংঘ।

বর্তমানে বিশ্বে রেমিট্যান্স লেনদেনে খরচ ৮ থেকে ১০ শতাংশ হয়ে থাকে। তা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোথায় খরচগুলো হচ্ছে তা চিহ্নত করা নিয়ে কাজ করছে জাতিসংঘ। রানীর বাংলাদেশ সফর বিশ্বের সকল মানুষকে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির সচেতনতা তৈরির প্রয়াসের একটি অংশ।

দারিদ্র্য দূরীকরণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নের মতো বিষয়গুলোতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনে ২০৩০ এর টেকশই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্থনৈতিক সেবায় যুক্ত হওয়া জরুরি।

জানা গেছে, উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স ফর ডেভেলপমেন্ট-বিষয়ক বিশেষ পরামর্শক হিসেবে রানী ম্যাক্সিমাকে ২০০৯ সালে নিয়োগ দেন তৎকালীন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য নিরসন, খাদ্য নিরাপত্তা ও শিক্ষার মতো উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডাচ রানী ব্যাপক জনসচেনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।