ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার আবু জাহেলদের ব্যার্থ গুপ্ত হত্যা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই যেভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত জীবনের শুরু হয় তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা’র লিফলেট বিতরন করলো পর্তুগাল সেচ্চাসেবক দল ইতালির তরিনোতে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে আমরা সারা দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব,মিলানের সেমিনারে বললেন পিনাকী ভট্রাচার্য পর্তুগাল জাসাস’র নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা

অবহেলা অনিয়মে কুলাউড়ার জয়চন্ডী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জীর্ণদশা!

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯
  • / ৫৮৭ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি জীর্ণদশা ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন থেকে নেই কোন চিকিৎসক। অথচ ডাক্তার কোর্য়াটরসহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ণির্মিত হলেও এখানে থাকতে চাননা কোন ডাক্তার। নেই কোন কেয়ারটেকার বা পরিচন্ন কর্মী। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহে ২-৩দিন একজন ভিজিটর আসতেন। তিনি অবসরে যাওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তালাবদ্ধ। যারফলে হাতের নাগালের চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অত্রাঞ্চলের মানুষ। সরেজমিনে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে দ্বিতল এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি স্থাপিত হলে অত্রাঞ্চলের মানুষের মাঝে আশা জেগেছিল হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার। অত্যাধুনিক দ্বিতল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মিত হলেও আজ পর্যন্ত কোন ডাক্তার যোগদান করেননি। দীর্ঘ ৩৪ বছর যাবত স্বাস্থ্যসেবা থেকে উপেক্ষিত উপজেলার অধুরের এই এলাকার হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী। জয়চন্ডী ইউনিয়নের কামারকান্দি, গিয়াসনগর, মেরিনা চা- বাগান, বিজয়া চা-বাগান, রংগীরকুল, দিলদারপুর, ক্লিভডন ও পাহাড়ী জনপদ পাঁচপীর জ্বালাই, বৈঠাংজ্বালাই,, গোগালিছড়াসহ অত্রাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষের একমাত্র স্বাস্থ্য ভরসাস্থল ছিল এ কেন্দ্রটি। নিয়মিত কোন ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী না থাকার ফলে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেননা এসব এলাকার খেঁটেখাওয়া মানুষগুলো। ডাক্তার কোর্য়াটরসহ ণির্মিত দ্বিতল এ ভবনটি ছিল বেশ অত্যাধুনিক। উপজেলা সদরের অধুরে হলেও এখানে থাকতে চাননা কোন ডাক্তার। নেই কোন কেয়ারটেকার বা পরিচন্ন কর্মী। ৩৪ বছর আগে স্থাপিত এ কেন্দ্রটিতে লাগেনী কোন সংস্কারের ছোয়া। নেই কোন পানীয়জলের সু-ব্যবস্থা। সামনের ফটক এবং চারি পাশের বেড়া অকেজো হয়ে যাবার ফলে অবাধে বিচরণ করে গরু- ছাগল। সব মিলিয়ে বর্তমানে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদিকে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তালাবদ্ধ দেখে ফিরে যান। গতকাল দুপুরে দিলদারপুর গ্রামের রায়না বেগম (৪০), কাঞ্চন বিবি (৬০), জ্বালাই মাকালউনির রোশনা বেগম (৩২), রংগীরকুলের ইদ্রিস আলী (৫৫) এসেছিলেন চিকিৎসাসেবা নিতে। তাদের কারো জ¦র-সর্দি, কারো গ্যাস সমস্যা আবার কারো কাশি। কিন্তু এখানে এসে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তালাবদ্ধ দেখে চলে যাচ্ছেন। পথিমধ্যে আলাপকালে তারা জানান, আমারা গরীব মানুষ, টাকার অভাবে শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারিনা। এখানে একজন আপা (ভিজিটর) আসতেন, তিনি আমাদেরকে যে ঔষধ দেন তাতে আমরা উপকার পাই। তবে এখন আর এসে তাকে (ভিজিটর) পাইনা। হাসপাতালটি পাই তালাবদ্ধ। এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক বলেন, জয়চন্ডী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি আমার আওতায় পড়েনা। বিষয়টি সম্পূর্ন আলাদা সেক্টর। সেগুলো হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সুলতান এর দায়িত্বে। তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এব্যপারে জানতে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ইউপি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা) ডা. সুলতান এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পোস্ট শেয়ার করুন

অবহেলা অনিয়মে কুলাউড়ার জয়চন্ডী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জীর্ণদশা!

আপডেটের সময় : ১১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি জীর্ণদশা ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন থেকে নেই কোন চিকিৎসক। অথচ ডাক্তার কোর্য়াটরসহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ণির্মিত হলেও এখানে থাকতে চাননা কোন ডাক্তার। নেই কোন কেয়ারটেকার বা পরিচন্ন কর্মী। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহে ২-৩দিন একজন ভিজিটর আসতেন। তিনি অবসরে যাওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তালাবদ্ধ। যারফলে হাতের নাগালের চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অত্রাঞ্চলের মানুষ। সরেজমিনে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে দ্বিতল এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি স্থাপিত হলে অত্রাঞ্চলের মানুষের মাঝে আশা জেগেছিল হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার। অত্যাধুনিক দ্বিতল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মিত হলেও আজ পর্যন্ত কোন ডাক্তার যোগদান করেননি। দীর্ঘ ৩৪ বছর যাবত স্বাস্থ্যসেবা থেকে উপেক্ষিত উপজেলার অধুরের এই এলাকার হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী। জয়চন্ডী ইউনিয়নের কামারকান্দি, গিয়াসনগর, মেরিনা চা- বাগান, বিজয়া চা-বাগান, রংগীরকুল, দিলদারপুর, ক্লিভডন ও পাহাড়ী জনপদ পাঁচপীর জ্বালাই, বৈঠাংজ্বালাই,, গোগালিছড়াসহ অত্রাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষের একমাত্র স্বাস্থ্য ভরসাস্থল ছিল এ কেন্দ্রটি। নিয়মিত কোন ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী না থাকার ফলে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেননা এসব এলাকার খেঁটেখাওয়া মানুষগুলো। ডাক্তার কোর্য়াটরসহ ণির্মিত দ্বিতল এ ভবনটি ছিল বেশ অত্যাধুনিক। উপজেলা সদরের অধুরে হলেও এখানে থাকতে চাননা কোন ডাক্তার। নেই কোন কেয়ারটেকার বা পরিচন্ন কর্মী। ৩৪ বছর আগে স্থাপিত এ কেন্দ্রটিতে লাগেনী কোন সংস্কারের ছোয়া। নেই কোন পানীয়জলের সু-ব্যবস্থা। সামনের ফটক এবং চারি পাশের বেড়া অকেজো হয়ে যাবার ফলে অবাধে বিচরণ করে গরু- ছাগল। সব মিলিয়ে বর্তমানে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদিকে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তালাবদ্ধ দেখে ফিরে যান। গতকাল দুপুরে দিলদারপুর গ্রামের রায়না বেগম (৪০), কাঞ্চন বিবি (৬০), জ্বালাই মাকালউনির রোশনা বেগম (৩২), রংগীরকুলের ইদ্রিস আলী (৫৫) এসেছিলেন চিকিৎসাসেবা নিতে। তাদের কারো জ¦র-সর্দি, কারো গ্যাস সমস্যা আবার কারো কাশি। কিন্তু এখানে এসে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তালাবদ্ধ দেখে চলে যাচ্ছেন। পথিমধ্যে আলাপকালে তারা জানান, আমারা গরীব মানুষ, টাকার অভাবে শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারিনা। এখানে একজন আপা (ভিজিটর) আসতেন, তিনি আমাদেরকে যে ঔষধ দেন তাতে আমরা উপকার পাই। তবে এখন আর এসে তাকে (ভিজিটর) পাইনা। হাসপাতালটি পাই তালাবদ্ধ। এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক বলেন, জয়চন্ডী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি আমার আওতায় পড়েনা। বিষয়টি সম্পূর্ন আলাদা সেক্টর। সেগুলো হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সুলতান এর দায়িত্বে। তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এব্যপারে জানতে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ইউপি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা) ডা. সুলতান এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।