ঢাকা , রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

অবশেষে মুন সিনেমা হল মালিককে ১০০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১০:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৩৫১ টাইম ভিউ

অবশেষে পুরান ঢাকার মুন সিনেমা হলের মালিক ইটালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলমের হাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচাপতির এজলাসে দেখা যায় তাকে।

মাকসুদুল আলমকে দ্রুত জমির রেজিস্ট্রেশন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট্রের নামে সম্পন্ন করে দিতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। মাকসুদুল আলম বলেন, আমি সন্তুষ্ট। ১৯৭২ সাল থেকে আমি অপেক্ষায় ছিলাম। আজ তার অবসান হলো।
আদালত এ বিষয়টি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেওয়ার জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করা করেছেন। এদিন মাকসুদুল আলমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি এবং সরকারের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

উল্লেখ্য, জানা যায়, পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটে একসময়ে মুন সিনেমা হলের মালিক ছিল ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে ওই সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। পরে ইটালিয়ান মার্বেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলম এই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করেন।

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ঘোষিত এক সামরিক ফরমানে সরকার কোনও সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না বলা হয়। ইটালিয়ান মার্বেল ২০০০ সালে হাইকোর্টে ওই ফরমানসহ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করেন। ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও জিয়াউর রহমানের ক্ষমতাগ্রহণ সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয় ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। তবে হাইকোর্টের এই রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি ৯০ দিনের মধ্যে ইটালিয়ান মার্বেলকে মুন সিনেমা হল ফেরত দিতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে নির্দেশ দেন।

এ অবস্থায় সম্পত্তি ফিরে পেতে ২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করে ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ এক প্রকৌশলীকে দিয়ে জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে দিয়ে এই মূল্য নির্ধারণ করতে বলা হয়। পরে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই প্রতিবেদন অনুসারে মুন সিনেমা হল মালিককে এই টাকা পরিশোধে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

পোস্ট শেয়ার করুন

অবশেষে মুন সিনেমা হল মালিককে ১০০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর

আপডেটের সময় : ১০:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

অবশেষে পুরান ঢাকার মুন সিনেমা হলের মালিক ইটালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলমের হাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচাপতির এজলাসে দেখা যায় তাকে।

মাকসুদুল আলমকে দ্রুত জমির রেজিস্ট্রেশন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট্রের নামে সম্পন্ন করে দিতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। মাকসুদুল আলম বলেন, আমি সন্তুষ্ট। ১৯৭২ সাল থেকে আমি অপেক্ষায় ছিলাম। আজ তার অবসান হলো।
আদালত এ বিষয়টি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেওয়ার জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করা করেছেন। এদিন মাকসুদুল আলমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি এবং সরকারের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

উল্লেখ্য, জানা যায়, পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটে একসময়ে মুন সিনেমা হলের মালিক ছিল ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে ওই সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। পরে ইটালিয়ান মার্বেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলম এই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করেন।

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ঘোষিত এক সামরিক ফরমানে সরকার কোনও সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না বলা হয়। ইটালিয়ান মার্বেল ২০০০ সালে হাইকোর্টে ওই ফরমানসহ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করেন। ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও জিয়াউর রহমানের ক্ষমতাগ্রহণ সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয় ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। তবে হাইকোর্টের এই রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি ৯০ দিনের মধ্যে ইটালিয়ান মার্বেলকে মুন সিনেমা হল ফেরত দিতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে নির্দেশ দেন।

এ অবস্থায় সম্পত্তি ফিরে পেতে ২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করে ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ এক প্রকৌশলীকে দিয়ে জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে দিয়ে এই মূল্য নির্ধারণ করতে বলা হয়। পরে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই প্রতিবেদন অনুসারে মুন সিনেমা হল মালিককে এই টাকা পরিশোধে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।