ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
মহান স্বাধীনতা দিবস ও রমাদান উপলক্ষ্যে সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পর্তুগাল বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে আব্দুল্লাপুর আঞ্চলিক সমিতির ষষ্ঠ বর্ষে পর্দাপন কেক কেটে উদযাপন ইতালির মিলানে ফেনী জেলা সমিতির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোজাদারদের সম্মানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ভারেজ প্রভিন্সের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল ইতালি উত্তরের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্কুল শিক্ষিকা কে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী গ্রেফতার ইতালির বলোনিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

হঠাৎ বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯
  • / ৮৭৪ টাইম ভিউ

দলীয় প্রধানের ১৪ মাস কারাবরণের পরে দলের নেতারা এখন বুঝতে পেরেছেন আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চান তারা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলকে পুনর্গঠন এর গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি। এরই মধ্যে ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি, তাঁতী দল, কৃষক দল, ওলামা দল এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলকে ঢেলে সাজাতে মরিয়া বিএনপি। দল পুনর্গঠন করে আন্দোলনে নামতে চায় বিএনপি।কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গণ অনশন, আমরণ অনশন এবং প্রতিবাদ কর্মসূচিতে দ্বিমত রয়েছে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীদের মধ্যে। এমন কর্মসূচির মাধ্যমে যদি নেতাকর্মীরা মরেও জায় তবুও দলীয় প্রধানের মুক্তি মিলবে না। বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হলে রাজপথ ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তার মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি নেতাকর্মীরা। স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে চান তারা।বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটের নেতারা এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ওনার জন্য জোর দাবি জানান। জানা গেছে, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি নির্ধারণসহ সার্বিক বিষয়ে ২০ দলীয় জোটের সথে আলোচনার জন্য আজ সন্ধ্যায় বৈঠক ডেকেছে বিএনপি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ রবিবার (৭ এপ্রিল) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। তাকে মুক্ত করতে হলে রাজপথের আন্দোলনের বিকল্প নেই। স্লোগান দিয়ে তার মুক্তি হবে না।দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন না করলে খালেদা জিয়া ও ‘গণতন্ত্রকে’ মুক্ত করা সম্ভব হবে না।কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বিএনপির অনশনে বলেন, হলের ভেতরে গণ-অনশন করে ১০০ বছরেও শেখ হাসিনাকে নড়াতে পারবেন না। এই ‘অবৈধ’ সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি আপনারা করতে পারেন না। করলে আপনাদের পতন হবে। বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি রাস্তায় নামতে পারেন, নামেন। আরও ১০টা মামলা হবে। দেশটা তো কারাগার হয়ে গেছে। যদি রাস্তায় নাম‌তে পা‌রেন তাহ‌লে শেখ হা‌সিনা এক সময় বল‌বে ছেড়ে দে মা, আমি গেলাম, আমাকে মাফ করো।

জেএসডির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা আ স ম আবদুর রব বলেন, ঘরের মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইতে রাজি নই। এখানে ১ হাজার ১০০ জন লোক মারা গেলেও কিছু হবে না। বাংলাদেশে অনেক ধরনের ডিক্টেটর ‘স্বৈরাচার’ এসেছে, কিন্তু এমন সিভিল ডিক্টেটর কখনো আসেনি। তিনি বলেন, যদি খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে চান, তাহলে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়তে হবে। আমি এখনই রাস্তায় নামতে রাজি আছি। আপনাদের নেতারা রাজি আছে কি না বলুন?এমন ঘরোয়া প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে বিএনপি চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।গত রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তির আবেদন করলে তা বিবেচনা করার সুযোগ আছে। সরকার তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার কোনো চিন্তাভাবনা করছে বিষয়টি এমনও নয় বলে জানান মন্ত্রী।ইঞ্জিনিয়ারস ইন্সটিটিউটে গণ অনশনে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও নেতাদের আন্দোলনের দাবি মেনে নেন। তিনি বলেন, আমরা কোনো প্যারোলে মুক্তির কথা বলিনি। জামিন পাওয়া খালেদা জিয়ার অধিকার। যেসব মামলায় অনেকে জামিন পেয়েছেন, সেখানে তাঁকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। খালেদা জিয়াকে বাইরে আনতে সরকার ভয় পায়। নৌ তিনি বলেন, সরকার দেশের সব অর্জন, প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশ বাঁচাতে এবং খালেদা জিয়াকে যেকোনো মূল্যে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।দলের সঙ্কট পরে সময় নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বিডি২৪লাইভকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ৩০ তারিখে (ডিসেম্বর) ভোটের নামে জনগণের সঙ্গে তামাশা হয়েছে। বন্দুকের নল দিয়ে ভোট নেয়া হয়েছে। ভোটের আগের রাতেই বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। দেশে কোন গণতন্ত্র নেই আইনের শাসন নেই। ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসন চলছে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে গণঅভ্যুত্থান ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তিনি বলেন, আমাদের দলকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে। পুনর্গঠন করা হলে যে কোন সময় আন্দোলনে নামবো।সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও নেতাদের আন্দোলনের দাবি মেনে নেন। তিনি বলেন, আমরা কোনো প্যারোলে মুক্তির কথা বলিনি। জামিন পাওয়া খালেদা জিয়ার অধিকার। যেসব মামলায় অনেকে জামিন পেয়েছেন, সেখানে তাঁকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। খালেদা জিয়াকে বাইরে আনতে সরকার ভয় পায়। তিনি বলেন, সরকার দেশের সব অর্জন, প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশ বাঁচাতে এবং খালেদা জিয়াকে যেকোনো মূল্যে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিন।

পোস্ট শেয়ার করুন

হঠাৎ বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি

আপডেটের সময় : ১১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯

দলীয় প্রধানের ১৪ মাস কারাবরণের পরে দলের নেতারা এখন বুঝতে পেরেছেন আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চান তারা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলকে পুনর্গঠন এর গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি। এরই মধ্যে ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি, তাঁতী দল, কৃষক দল, ওলামা দল এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলকে ঢেলে সাজাতে মরিয়া বিএনপি। দল পুনর্গঠন করে আন্দোলনে নামতে চায় বিএনপি।কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গণ অনশন, আমরণ অনশন এবং প্রতিবাদ কর্মসূচিতে দ্বিমত রয়েছে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীদের মধ্যে। এমন কর্মসূচির মাধ্যমে যদি নেতাকর্মীরা মরেও জায় তবুও দলীয় প্রধানের মুক্তি মিলবে না। বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হলে রাজপথ ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তার মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি নেতাকর্মীরা। স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে চান তারা।বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটের নেতারা এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ওনার জন্য জোর দাবি জানান। জানা গেছে, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি নির্ধারণসহ সার্বিক বিষয়ে ২০ দলীয় জোটের সথে আলোচনার জন্য আজ সন্ধ্যায় বৈঠক ডেকেছে বিএনপি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ রবিবার (৭ এপ্রিল) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। তাকে মুক্ত করতে হলে রাজপথের আন্দোলনের বিকল্প নেই। স্লোগান দিয়ে তার মুক্তি হবে না।দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন না করলে খালেদা জিয়া ও ‘গণতন্ত্রকে’ মুক্ত করা সম্ভব হবে না।কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বিএনপির অনশনে বলেন, হলের ভেতরে গণ-অনশন করে ১০০ বছরেও শেখ হাসিনাকে নড়াতে পারবেন না। এই ‘অবৈধ’ সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি আপনারা করতে পারেন না। করলে আপনাদের পতন হবে। বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি রাস্তায় নামতে পারেন, নামেন। আরও ১০টা মামলা হবে। দেশটা তো কারাগার হয়ে গেছে। যদি রাস্তায় নাম‌তে পা‌রেন তাহ‌লে শেখ হা‌সিনা এক সময় বল‌বে ছেড়ে দে মা, আমি গেলাম, আমাকে মাফ করো।

জেএসডির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা আ স ম আবদুর রব বলেন, ঘরের মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইতে রাজি নই। এখানে ১ হাজার ১০০ জন লোক মারা গেলেও কিছু হবে না। বাংলাদেশে অনেক ধরনের ডিক্টেটর ‘স্বৈরাচার’ এসেছে, কিন্তু এমন সিভিল ডিক্টেটর কখনো আসেনি। তিনি বলেন, যদি খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে চান, তাহলে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়তে হবে। আমি এখনই রাস্তায় নামতে রাজি আছি। আপনাদের নেতারা রাজি আছে কি না বলুন?এমন ঘরোয়া প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে বিএনপি চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।গত রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তির আবেদন করলে তা বিবেচনা করার সুযোগ আছে। সরকার তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার কোনো চিন্তাভাবনা করছে বিষয়টি এমনও নয় বলে জানান মন্ত্রী।ইঞ্জিনিয়ারস ইন্সটিটিউটে গণ অনশনে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও নেতাদের আন্দোলনের দাবি মেনে নেন। তিনি বলেন, আমরা কোনো প্যারোলে মুক্তির কথা বলিনি। জামিন পাওয়া খালেদা জিয়ার অধিকার। যেসব মামলায় অনেকে জামিন পেয়েছেন, সেখানে তাঁকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। খালেদা জিয়াকে বাইরে আনতে সরকার ভয় পায়। নৌ তিনি বলেন, সরকার দেশের সব অর্জন, প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশ বাঁচাতে এবং খালেদা জিয়াকে যেকোনো মূল্যে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।দলের সঙ্কট পরে সময় নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বিডি২৪লাইভকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ৩০ তারিখে (ডিসেম্বর) ভোটের নামে জনগণের সঙ্গে তামাশা হয়েছে। বন্দুকের নল দিয়ে ভোট নেয়া হয়েছে। ভোটের আগের রাতেই বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। দেশে কোন গণতন্ত্র নেই আইনের শাসন নেই। ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসন চলছে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে গণঅভ্যুত্থান ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তিনি বলেন, আমাদের দলকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে। পুনর্গঠন করা হলে যে কোন সময় আন্দোলনে নামবো।সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও নেতাদের আন্দোলনের দাবি মেনে নেন। তিনি বলেন, আমরা কোনো প্যারোলে মুক্তির কথা বলিনি। জামিন পাওয়া খালেদা জিয়ার অধিকার। যেসব মামলায় অনেকে জামিন পেয়েছেন, সেখানে তাঁকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। খালেদা জিয়াকে বাইরে আনতে সরকার ভয় পায়। তিনি বলেন, সরকার দেশের সব অর্জন, প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশ বাঁচাতে এবং খালেদা জিয়াকে যেকোনো মূল্যে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিন।