ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
মৌলভীবাজারে সংবর্ধিত মুসলিম কমিউনিটি আহবায়ক শায়খ নূরে আলম হামিদী মহান স্বাধীনতা দিবস ও রমাদান উপলক্ষ্যে সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পর্তুগাল বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে আব্দুল্লাপুর আঞ্চলিক সমিতির ষষ্ঠ বর্ষে পর্দাপন কেক কেটে উদযাপন ইতালির মিলানে ফেনী জেলা সমিতির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোজাদারদের সম্মানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ভারেজ প্রভিন্সের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল ইতালি উত্তরের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্কুল শিক্ষিকা কে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী গ্রেফতার

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ১১:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ১০৬৪ টাইম ভিউ

বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান উপলক্ষে শুক্রবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী উন্নয়নের স্বীকৃতি হিসেবে আমরা জাতিসংঘের ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম প্রদত্ত ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছি। নারী ও কন্যাশিশুর সাক্ষরতা ও শিক্ষা প্রসারে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কো আমাকে ‘শান্তিবৃক্ষ’ স্মারক পুরস্কারে ভূষিত করেছে।’উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়ক ধরে সরকার এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের নারীসমাজ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবেন।শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি আরও যুগোপযোগী করে আমরা নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করছি। বাল্যবিবাহ সমাজ থেকে নির্মূলের জন্য ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে।তিনি বলেন, নারীর দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা, শ্রমবাজারে ব্যাপক অংশগ্রহণ ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে এবং নারীর প্রতি সামাজিক অপরাধ রোধে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়াও বর্তমান সরকার নারী শিক্ষার প্রসারে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করেছে। উপবৃত্তি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধ এবং লিঙ্গ সমতায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে।মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণের অগ্রদূত। বিশ শতকের প্রথম দিকে বাঙালি মুসলমানদের নবজাগরণের সূচনালগ্নে নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণে তিনিই প্রধান নেতৃত্ব দেন।শেখ হাসিনা বলেন, সাহিত্যচর্চা, সংগঠন পরিচালনা ও শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া সমাজ সংস্কারে এগিয়ে আসেন এবং স্থাপন করেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বেগম রোকেয়ার আদর্শ, সাহস, কর্মময় জীবন নারী সমাজের এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস।তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। নারী সমাজের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করেন।প্রধানমন্ত্রী বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় শনিবার রোকেয়া দিবস উদযাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান করবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী

আপডেটের সময় : ১১:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান উপলক্ষে শুক্রবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী উন্নয়নের স্বীকৃতি হিসেবে আমরা জাতিসংঘের ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম প্রদত্ত ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছি। নারী ও কন্যাশিশুর সাক্ষরতা ও শিক্ষা প্রসারে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কো আমাকে ‘শান্তিবৃক্ষ’ স্মারক পুরস্কারে ভূষিত করেছে।’উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়ক ধরে সরকার এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের নারীসমাজ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবেন।শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি আরও যুগোপযোগী করে আমরা নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করছি। বাল্যবিবাহ সমাজ থেকে নির্মূলের জন্য ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে।তিনি বলেন, নারীর দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা, শ্রমবাজারে ব্যাপক অংশগ্রহণ ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে এবং নারীর প্রতি সামাজিক অপরাধ রোধে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়াও বর্তমান সরকার নারী শিক্ষার প্রসারে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করেছে। উপবৃত্তি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধ এবং লিঙ্গ সমতায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে।মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণের অগ্রদূত। বিশ শতকের প্রথম দিকে বাঙালি মুসলমানদের নবজাগরণের সূচনালগ্নে নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণে তিনিই প্রধান নেতৃত্ব দেন।শেখ হাসিনা বলেন, সাহিত্যচর্চা, সংগঠন পরিচালনা ও শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া সমাজ সংস্কারে এগিয়ে আসেন এবং স্থাপন করেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বেগম রোকেয়ার আদর্শ, সাহস, কর্মময় জীবন নারী সমাজের এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস।তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। নারী সমাজের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করেন।প্রধানমন্ত্রী বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় শনিবার রোকেয়া দিবস উদযাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান করবে।