ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

দু’ দ্বীপ কিনে চীনকে চাপে ফেলতে চায় ভারত

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
  • / ১০০৭ টাইম ভিউ

চীনকে কৌশলগত চাপে ফেলতে ভারত দু’টি সবুজ দ্বীপ কিনেছে। সেখানে বিমানঘাঁটি এবং বন্দর গড়ার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার।
আনন্দবাজার পত্রিকা ভারতীয় কূটনৈতিক সূত্রে জানায়, চীন যেভাবে ‘স্ট্রিং অব পার্লস’ নীতির মাধ্যমে ভারতকে ঘিরে নজরদারি করার কৌশল নিয়েছে, তার পাল্টা হিসেবে এই দ্বীপ দু’টিতে ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে ভারত। সেশেলস-এর ‘অ্যাসাম্পশন দ্বীপ’ এবং মরিশাসের ‘অ্যাগালেগা দ্বীপ’ এর অবস্থান এমনই যে সেখান দিয়ে বিশ্বের দু’ তৃতীয়াংশ জ্বালানিবাহী জাহাজ যাতায়াত করে। বিশ্বে দ্রুত অর্থনৈতিক শক্তির বলয় তৈরি করতে চীন যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বিষয়টি অনেক আগে থেকেই ভারতের নজরে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। আলোচনায় পরিস্থিতি কূটনৈতিকভাবে সমাধানের পাশাপাশি চীনের ওপর চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। জলে এবং স্থলে চীনের ওপর পাল্টা চাপ বাড়াতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদি সরকার। প্রায় এক মাস ধরে ভুটান সীমান্তে ডোকালায় দু’দেশের সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ডোকালায় তাঁবু গেড়ে ভারতীয় সেনাকে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সেনা আরো বাড়ানো হবে। সীমান্তে মোতায়েন এই বাহিনীর জন্য স্থায়ীভাবে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের লাইনও চালু করা হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য এখানে ঘাঁটি গাড়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
আনন্দবাজার আরো জানায়, মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে ভারতের কাছে গেলো বছরই খবর আসে যে, সেশেলস-সহ ভারত মহাসাগরের বেশ কিছু দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি গড়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে চীন সরকার। আমেরিকার কাছেও বিষয়টি উগ্বেগজনক। কারণ, এই অঞ্চলে মরিশাসেরই দিয়েগো গার্সিয়াতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। ব্রিটেন এই দ্বীপ বেসরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ করলেও ওই ঘাঁটিটি মার্কিন সেনারই অধীনে। এই বিষয়ে ব্রিটেন এবং আমেরিকার মধ্যে অলিখিত চুক্তিও রয়েছে।
দিল্লির বিশেষজ্ঞ সংস্থা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন-এর এক প্রতিনিধি দর্শনা বড়ুয়া বলেন, ‘নিরাপত্তা এবং কৌশলগত প্রশ্নে ভারত এবং চীনের মধ্যে আস্থার অভাব ক্রমশ বাড়ছে। চীন চেষ্টা করছে ভারত মহাসাগরে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে। ভারত স্বাভাবিক ভাবেই পাল্টা এগোচ্ছে’।

পোস্ট শেয়ার করুন

দু’ দ্বীপ কিনে চীনকে চাপে ফেলতে চায় ভারত

আপডেটের সময় : ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭

চীনকে কৌশলগত চাপে ফেলতে ভারত দু’টি সবুজ দ্বীপ কিনেছে। সেখানে বিমানঘাঁটি এবং বন্দর গড়ার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার।
আনন্দবাজার পত্রিকা ভারতীয় কূটনৈতিক সূত্রে জানায়, চীন যেভাবে ‘স্ট্রিং অব পার্লস’ নীতির মাধ্যমে ভারতকে ঘিরে নজরদারি করার কৌশল নিয়েছে, তার পাল্টা হিসেবে এই দ্বীপ দু’টিতে ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে ভারত। সেশেলস-এর ‘অ্যাসাম্পশন দ্বীপ’ এবং মরিশাসের ‘অ্যাগালেগা দ্বীপ’ এর অবস্থান এমনই যে সেখান দিয়ে বিশ্বের দু’ তৃতীয়াংশ জ্বালানিবাহী জাহাজ যাতায়াত করে। বিশ্বে দ্রুত অর্থনৈতিক শক্তির বলয় তৈরি করতে চীন যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বিষয়টি অনেক আগে থেকেই ভারতের নজরে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। আলোচনায় পরিস্থিতি কূটনৈতিকভাবে সমাধানের পাশাপাশি চীনের ওপর চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। জলে এবং স্থলে চীনের ওপর পাল্টা চাপ বাড়াতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদি সরকার। প্রায় এক মাস ধরে ভুটান সীমান্তে ডোকালায় দু’দেশের সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ডোকালায় তাঁবু গেড়ে ভারতীয় সেনাকে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সেনা আরো বাড়ানো হবে। সীমান্তে মোতায়েন এই বাহিনীর জন্য স্থায়ীভাবে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের লাইনও চালু করা হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য এখানে ঘাঁটি গাড়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
আনন্দবাজার আরো জানায়, মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে ভারতের কাছে গেলো বছরই খবর আসে যে, সেশেলস-সহ ভারত মহাসাগরের বেশ কিছু দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি গড়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে চীন সরকার। আমেরিকার কাছেও বিষয়টি উগ্বেগজনক। কারণ, এই অঞ্চলে মরিশাসেরই দিয়েগো গার্সিয়াতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। ব্রিটেন এই দ্বীপ বেসরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ করলেও ওই ঘাঁটিটি মার্কিন সেনারই অধীনে। এই বিষয়ে ব্রিটেন এবং আমেরিকার মধ্যে অলিখিত চুক্তিও রয়েছে।
দিল্লির বিশেষজ্ঞ সংস্থা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন-এর এক প্রতিনিধি দর্শনা বড়ুয়া বলেন, ‘নিরাপত্তা এবং কৌশলগত প্রশ্নে ভারত এবং চীনের মধ্যে আস্থার অভাব ক্রমশ বাড়ছে। চীন চেষ্টা করছে ভারত মহাসাগরে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে। ভারত স্বাভাবিক ভাবেই পাল্টা এগোচ্ছে’।