ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা

প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে স্বেচ্ছায় সভাপতির পদ ছাড়লেন কারা নির্যাতিত বিএনপি নেতা মাহমুদ আলী

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ
  • আপডেটের সময় : ০১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০১৯
  • / ১৩৫৩ টাইম ভিউ

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ কারা নির্যাতিত বিএনপি নেতা ও হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হলে ও পরে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে স্বেচ্ছায় নিজের পদ ছেড়ে দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেন।

জানা যায় গত ১৬ মে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির  উপজেলা আহবায়ক এডভোকেট আবেদ রাজার নেতৃত্বে হাজীপুর ইউনিয়নে বিএনপির ইউনিয়ন কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই জন প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পান। এর পর উভয় প্রার্থী ও উপস্থিতির সম্মতিক্রমে লটারি টানা হয়। এতে সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ আলীর নাম উঠে। উপজেলা নেতৃবৃন্দ সভাপতি হিসাবে মাহমুদ আলীর নাম ঘোষনা করেন এবং সেক্রেটারি হিসাবে আব্দুল হাইর নাম ঘোষনার পরেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সভাপতি ফারুক পান্না এসময় বৈকঠ করেন এবং কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এই লটারি প্রক্রিয়া মানেন না, এ দাবী করে উঠে চলে যান। পরবর্তীতে এটি জেলা সভাপতি এম নাসের রহমান পর্যন্ত গড়ালে জেলা সভাপতি লটারি প্রক্রিয়া বৈধ্ নয় বলে পুনঃকাউন্সিল দেয়ার নির্দেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা আহবায়ক কমিটি ১০ জুন পূনঃ কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করেন এবং মাহমুদ আলী ও ফারুক আহমদ পান্নাকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে অবগত করেন।

পূনঃ কাউন্সিল উপলক্ষে মাহমুদ আলী করণীয় কি এই বিষয় নিয়ে  গত ৯ জুন রাতে মোঃ মাহমুদ আলীর বাড়ীতে তার অনুসারী কাউন্সিলরদের নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত কাউন্সিলরবৃন্দ নির্বাচন বর্জনের পক্ষে মত দেন।ঠিক সেই মুহুর্তে উপজেলা বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ, জয়নাল আবেদীন বাচ্চু, আব্দুল মজিদ, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ফারুক আহমদ পান্নার জন্য পদটি ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তখন মাহমুদ আলী সমর্থকদের মধ্যে একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হলে মাহমুদ আলী সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেন।

ব্যাপক আলাপ আলোচনার পর উভয় প্রার্থীকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্টিত হয়। কাউন্সিলের একদিন পূর্বে সমঝোতা বৈঠকে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিতে হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তার বক্তব্যের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ফারুক ফারুক আহমদ পান্নাকে সভাপতি পদ ছেড়ে দেন। এসময় মাহমুদ আলী ঘোষনা দেন এর মাধ্যমে যাতে হাজীপুর বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং কেন্দ্রের যে কোন কর্মসূচী পালনে সবাই যেন ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাপিয়ে পড়ে।তিনির বক্তব্যের পর সবাই তাহাকে করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানান।অন্য দিকে এব্যায়াপারে মাহমুদ আলীর সমর্থকবৃন্দের মধ্যে কেউ কেউ অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক মামলায় মোঃ মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন জেল খাটেন, এখন তিনির উপর একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানাগেছে।প্রকাশ আবশ্যক গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে ১৩৭ ভোটের ব্যবধানে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চুর কাছে হেরেছিলেন মোঃ মাহমুদ আলী।

 

 

পোস্ট শেয়ার করুন

প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে স্বেচ্ছায় সভাপতির পদ ছাড়লেন কারা নির্যাতিত বিএনপি নেতা মাহমুদ আলী

আপডেটের সময় : ০১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০১৯

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ কারা নির্যাতিত বিএনপি নেতা ও হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হলে ও পরে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে স্বেচ্ছায় নিজের পদ ছেড়ে দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেন।

জানা যায় গত ১৬ মে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির  উপজেলা আহবায়ক এডভোকেট আবেদ রাজার নেতৃত্বে হাজীপুর ইউনিয়নে বিএনপির ইউনিয়ন কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই জন প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পান। এর পর উভয় প্রার্থী ও উপস্থিতির সম্মতিক্রমে লটারি টানা হয়। এতে সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ আলীর নাম উঠে। উপজেলা নেতৃবৃন্দ সভাপতি হিসাবে মাহমুদ আলীর নাম ঘোষনা করেন এবং সেক্রেটারি হিসাবে আব্দুল হাইর নাম ঘোষনার পরেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সভাপতি ফারুক পান্না এসময় বৈকঠ করেন এবং কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এই লটারি প্রক্রিয়া মানেন না, এ দাবী করে উঠে চলে যান। পরবর্তীতে এটি জেলা সভাপতি এম নাসের রহমান পর্যন্ত গড়ালে জেলা সভাপতি লটারি প্রক্রিয়া বৈধ্ নয় বলে পুনঃকাউন্সিল দেয়ার নির্দেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা আহবায়ক কমিটি ১০ জুন পূনঃ কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করেন এবং মাহমুদ আলী ও ফারুক আহমদ পান্নাকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে অবগত করেন।

পূনঃ কাউন্সিল উপলক্ষে মাহমুদ আলী করণীয় কি এই বিষয় নিয়ে  গত ৯ জুন রাতে মোঃ মাহমুদ আলীর বাড়ীতে তার অনুসারী কাউন্সিলরদের নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত কাউন্সিলরবৃন্দ নির্বাচন বর্জনের পক্ষে মত দেন।ঠিক সেই মুহুর্তে উপজেলা বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ, জয়নাল আবেদীন বাচ্চু, আব্দুল মজিদ, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ফারুক আহমদ পান্নার জন্য পদটি ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তখন মাহমুদ আলী সমর্থকদের মধ্যে একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হলে মাহমুদ আলী সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেন।

ব্যাপক আলাপ আলোচনার পর উভয় প্রার্থীকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্টিত হয়। কাউন্সিলের একদিন পূর্বে সমঝোতা বৈঠকে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিতে হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তার বক্তব্যের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ফারুক ফারুক আহমদ পান্নাকে সভাপতি পদ ছেড়ে দেন। এসময় মাহমুদ আলী ঘোষনা দেন এর মাধ্যমে যাতে হাজীপুর বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং কেন্দ্রের যে কোন কর্মসূচী পালনে সবাই যেন ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাপিয়ে পড়ে।তিনির বক্তব্যের পর সবাই তাহাকে করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানান।অন্য দিকে এব্যায়াপারে মাহমুদ আলীর সমর্থকবৃন্দের মধ্যে কেউ কেউ অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক মামলায় মোঃ মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন জেল খাটেন, এখন তিনির উপর একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানাগেছে।প্রকাশ আবশ্যক গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে ১৩৭ ভোটের ব্যবধানে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চুর কাছে হেরেছিলেন মোঃ মাহমুদ আলী।