ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

তৃতীয় মেয়াদে স্পিকার নির্বাচিত শিরীন শারমিন

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৯৯৪ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় মেয়াদে স্পিকার নির্বাচিত হলেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এমপিদের কণ্ঠভোটে স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। পরে সংসদ ভবনে অবস্থানরত রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে শপথ নেন তিনি।

অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে স্পিকার পদে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন নোয়াখালী-৫ আসনের এমপি ওবায়দুল কাদের। পরে সেই প্রস্তাবে সমর্থন করেন মাদারীপুর-১ আসনের এমপি নূর-ই-আলম চৌধুরী। প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে দেন সংসদে স্পিকারের আসনে থাকা অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।

দশম সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। একটি মাত্র নাম প্রস্তাব করার পরও রীতি অনুযায়ী নামটি ভোটে দেন ডেপুটি স্পিকার। কণ্ঠভোটে পাস হওয়ার পর ১৫ মিনিটের বিরতিতে যায় সংসদ।

নবম সংসদের শেষ দিকে জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে শূন্য হয় স্পিকারের আসন, সেই স্থানে আসেন সংসদ সদস্য শিরীন শারমিন। সেবার প্রথমবারের মতো আইনসভায় এসে চার বছরের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই সংসদ প্রধানের পদে বসেন শিরীন শারমিন। আর এই পদে তিনিই ছিলেন প্রথম নারী। নবম সংসদে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে পৈত্রিক এলাকা নোয়াখালীর চাটখিল আসনে সরাসরি অংশ নিতে চাইলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি তিনি। এরপর সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে সংসদে যেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান তিনি। ওই সময় শেখ হাসিনা রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনটি ছেড়ে দিয়ে সেখানে উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করেন শিরীন শারমিনকে। উপনির্বাচনে আর কেউ প্রার্থী না হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৬ আসন থেকেই নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারো এই পদে রাখার বিষয়ে রংপুরে নির্বাচনী জনসভায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পেশায় আইনজীবী শিরীন শারমিনের জন্ম ১৯৬৬ সালে ৬ অক্টোবর ঢাকায়। তার বাবা রফিকউল্লাহ চৌধুরী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব; মা অধ্যাপক নাইয়ার সুলতানা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য ছিলেন।

১৯৮৩ সালে ঢাকা বোর্ডে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করা শিরীন দুই বছর পর এইচএসসি-তে একই বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে দ্বিতীয় হন। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও ১৯৯০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম-এ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন। তিনি একজন কমনওয়েলথ স্কলার।

২০০০ সালে সাংবিধানিক আইন ও মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে পিএইচডি অর্জন করা শিরীন শারমিন ১৯৯২ সালে বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। সুপ্রিম কোর্টে তার ১৫ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশের পদমর্যাদাক্রমে স্পিকার পদটি আছে তৃতীয় নম্বরে। প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধানমন্ত্রী এবং এরপর আছেন স্পিকার। যদিও সংসদ পরিচালনায় তিনিই সর্বেসর্বা।

পোস্ট শেয়ার করুন

তৃতীয় মেয়াদে স্পিকার নির্বাচিত শিরীন শারমিন

আপডেটের সময় : ০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় মেয়াদে স্পিকার নির্বাচিত হলেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এমপিদের কণ্ঠভোটে স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। পরে সংসদ ভবনে অবস্থানরত রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে শপথ নেন তিনি।

অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে স্পিকার পদে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন নোয়াখালী-৫ আসনের এমপি ওবায়দুল কাদের। পরে সেই প্রস্তাবে সমর্থন করেন মাদারীপুর-১ আসনের এমপি নূর-ই-আলম চৌধুরী। প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে দেন সংসদে স্পিকারের আসনে থাকা অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।

দশম সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। একটি মাত্র নাম প্রস্তাব করার পরও রীতি অনুযায়ী নামটি ভোটে দেন ডেপুটি স্পিকার। কণ্ঠভোটে পাস হওয়ার পর ১৫ মিনিটের বিরতিতে যায় সংসদ।

নবম সংসদের শেষ দিকে জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে শূন্য হয় স্পিকারের আসন, সেই স্থানে আসেন সংসদ সদস্য শিরীন শারমিন। সেবার প্রথমবারের মতো আইনসভায় এসে চার বছরের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই সংসদ প্রধানের পদে বসেন শিরীন শারমিন। আর এই পদে তিনিই ছিলেন প্রথম নারী। নবম সংসদে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে পৈত্রিক এলাকা নোয়াখালীর চাটখিল আসনে সরাসরি অংশ নিতে চাইলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি তিনি। এরপর সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে সংসদে যেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান তিনি। ওই সময় শেখ হাসিনা রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনটি ছেড়ে দিয়ে সেখানে উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করেন শিরীন শারমিনকে। উপনির্বাচনে আর কেউ প্রার্থী না হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৬ আসন থেকেই নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারো এই পদে রাখার বিষয়ে রংপুরে নির্বাচনী জনসভায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পেশায় আইনজীবী শিরীন শারমিনের জন্ম ১৯৬৬ সালে ৬ অক্টোবর ঢাকায়। তার বাবা রফিকউল্লাহ চৌধুরী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব; মা অধ্যাপক নাইয়ার সুলতানা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য ছিলেন।

১৯৮৩ সালে ঢাকা বোর্ডে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করা শিরীন দুই বছর পর এইচএসসি-তে একই বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে দ্বিতীয় হন। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও ১৯৯০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম-এ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন। তিনি একজন কমনওয়েলথ স্কলার।

২০০০ সালে সাংবিধানিক আইন ও মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে পিএইচডি অর্জন করা শিরীন শারমিন ১৯৯২ সালে বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। সুপ্রিম কোর্টে তার ১৫ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশের পদমর্যাদাক্রমে স্পিকার পদটি আছে তৃতীয় নম্বরে। প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধানমন্ত্রী এবং এরপর আছেন স্পিকার। যদিও সংসদ পরিচালনায় তিনিই সর্বেসর্বা।