ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ দেশে ফিরতে চায়

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ১৭০২ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:  ওয়ান ইলেভেনের আলোচিত ব্যক্তি জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ দেশে ফিরতে চায়। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত, নিউইয়র্কে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করছিলেন। দেশে তিনি নিরাপদ নন, এই আশঙ্কায় এতদিনে তিনি দেশে ফিরেননি। জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের ঘনিষ্ঠরা বলছে যে, তিনি দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছেন। এজন্য তিনি সরকারের কাছে সবুজ সংকেত চেয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তাকে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের মূল আশঙ্কা ছিল যে, বিএনপি জামাত যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তাকে বিপদে পরতে হতে পারে। বেগম খালেদা জিয়া একাধিক বক্তৃতায় কখনো ক্ষমতায় গেলে জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সে কারণেই তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসনে নিউইয়র্কে অবস্থান করেছেন। তবে এখন তার শারিরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তিনি দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছে। উল্লেখ্য, জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ তাঁর নাম ঠিক না হওয়া গ্রন্থে লিখেছেন, ‘রাজনীতিবিদরাই আমাকে নেতা বানানোর টোপ দিয়েছিল। আমি সৌভাগ্যবান, আমি সেই ফাঁদে পা দেইনি। আমি সেনাপ্রধান হিসেবেই বিদায় নিয়েছি  ‘পেঙ্গুইন র‌্যানডম থেকে এই গ্রন্থ এখন সম্পাদনার টেবিলে। গ্রন্থটিতে সাবেক সেনাপ্রধান ওয়ান-ইলেভেনের সময়ের অনেক চাঞ্চল্যকর এবং অজানা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। গ্রন্থে তিনি দাবি করেছেন, ‘আমার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ছিল না। রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিটি এসেছিল সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকেই।’ গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, ‘ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবার পরই, সেনাবাহিনী শুধু একটি নতুন নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয় সে লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি কখনোই রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ পোষণ করিনি।’ তিনি লিখেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবার পরপর, সেনা গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন সদস্য আমাকে জানায়, প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক সংস্কার চায়। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা স্বপ্রণোদিত হয়ে তাঁদের সঙ্গে (ডিজিএফআই) যোগাযোগ করেছে। তাঁরা (রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ) বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র না থাকলে, দেশে গণতন্ত্র অসম্ভব। প্রথমে আমি আমার সহকর্মীদের জানিয়ে দেই এটা তাঁদের বিষয়। আমরা এসবে নাক গলাব না। কিন্তু কিছুদিন পরই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান আমাকে জানান যে, সুশীল সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধি আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। আমি আপত্তি করলেও প্রধান উপদেষ্টা আমাকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে জনা বিশেক সুশীল সমাজের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেন। ওই বৈঠকে প্রথম একজন সম্পাদক বলেন, ‘দুই নেত্রীকে দলের প্রধান রেখে বাংলাদেশের গণতন্ত্র অসম্ভব। তাঁরা এটাও বলেন, রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচন হবে অর্থহীন। তাঁদের বক্তব্যের সূত্র ধরেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক সংস্কার হাতে নেয়।’ জেনারেল মঈন তাঁর পান্ডুলিপিতে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠকের কথা স্বীকার করেন। তিনি লিখেছেন, ‘ওই সব নেতারা আমাকে দ্রুত শেখ হাসিনার বিচার শেষ করে তাঁকে দণ্ডিত করার জন্য অনুরোধ করেন। তাঁরা এও আশ্বস্ত করেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনের অযোগ্য হলেই, কেবল নির্বাচন দেওয়া উচিত।’ বিএনপির নেতারা বরং বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তার না করে বিদেশে পাঠানোর পক্ষে মত দেন। বিএনপির নেতারা তাঁদের প্রধানকে বেশি ভয় পেতো বলেও মঈন ইউ আহমেদ পাণ্ডুলিপিতে মন্তব্য করেছেন। তিনি পাণ্ডুলিপিতে লিখেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করল, তখন আওয়ামী লীগের নেতারা নেতৃত্ব এবং ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। চারজন নেতা পৃথক ভাবে গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেদের প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্য বলে দাবি করেন। এরা এক পর্যায়ে বিরক্তি এবং রসিকতার বস্তুতে পরিণত হন। এরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে, আমাকে নেতা হবার প্রস্তাব দেয়। একই প্রস্তাব আসে বিএনপি থেকেও। আওয়ামী লীগ বিএনপি সব ব্যাপারে ঝগড়া করলেও আমি দেখেছি, তাদের ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে কোনো বিরোধ ছিল না। দুপক্ষ থেকেই সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সর্বদলীয় সরকার প্রধান কে হবে, এই প্রশ্ন করলে দুদল থেকেই আমার নাম আসে। কিন্তু আমি ওই প্রস্তাব বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করি। অবশ্য সুশীল সমাজ সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দেখায়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সেনা গোয়েন্দাদের দল একদিন আমার সঙ্গে বৈঠক করে। পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তারা আমাকে জানায়, ‘একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া সব রাজনীতিবিদকেই কেনা যায়।’ পরে তাঁদের কথার সত্যতা আমি হারে হারে টের পাই। তিনি লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক সংস্কারের ব্যাপারে হাত না দিলে আমরা বুঝতাম না, আমাদের রাজনৈতিক সমস্যা কোথায়। অচিরেই আমরা বুঝি, সমস্যা দুই নেত্রী নন, সমস্যা নেতারা। তারা শুধু কিছু পাবার চিন্তায় বিভোর থাকেন। এদের কাছে আদর্শ মূল্যহীন।

পোস্ট শেয়ার করুন

জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ দেশে ফিরতে চায়

আপডেটের সময় : ০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:  ওয়ান ইলেভেনের আলোচিত ব্যক্তি জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ দেশে ফিরতে চায়। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত, নিউইয়র্কে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করছিলেন। দেশে তিনি নিরাপদ নন, এই আশঙ্কায় এতদিনে তিনি দেশে ফিরেননি। জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের ঘনিষ্ঠরা বলছে যে, তিনি দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছেন। এজন্য তিনি সরকারের কাছে সবুজ সংকেত চেয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তাকে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের মূল আশঙ্কা ছিল যে, বিএনপি জামাত যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তাকে বিপদে পরতে হতে পারে। বেগম খালেদা জিয়া একাধিক বক্তৃতায় কখনো ক্ষমতায় গেলে জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সে কারণেই তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসনে নিউইয়র্কে অবস্থান করেছেন। তবে এখন তার শারিরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তিনি দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছে। উল্লেখ্য, জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ তাঁর নাম ঠিক না হওয়া গ্রন্থে লিখেছেন, ‘রাজনীতিবিদরাই আমাকে নেতা বানানোর টোপ দিয়েছিল। আমি সৌভাগ্যবান, আমি সেই ফাঁদে পা দেইনি। আমি সেনাপ্রধান হিসেবেই বিদায় নিয়েছি  ‘পেঙ্গুইন র‌্যানডম থেকে এই গ্রন্থ এখন সম্পাদনার টেবিলে। গ্রন্থটিতে সাবেক সেনাপ্রধান ওয়ান-ইলেভেনের সময়ের অনেক চাঞ্চল্যকর এবং অজানা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। গ্রন্থে তিনি দাবি করেছেন, ‘আমার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ছিল না। রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিটি এসেছিল সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকেই।’ গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, ‘ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবার পরই, সেনাবাহিনী শুধু একটি নতুন নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয় সে লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি কখনোই রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ পোষণ করিনি।’ তিনি লিখেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবার পরপর, সেনা গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন সদস্য আমাকে জানায়, প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক সংস্কার চায়। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা স্বপ্রণোদিত হয়ে তাঁদের সঙ্গে (ডিজিএফআই) যোগাযোগ করেছে। তাঁরা (রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ) বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র না থাকলে, দেশে গণতন্ত্র অসম্ভব। প্রথমে আমি আমার সহকর্মীদের জানিয়ে দেই এটা তাঁদের বিষয়। আমরা এসবে নাক গলাব না। কিন্তু কিছুদিন পরই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান আমাকে জানান যে, সুশীল সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধি আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। আমি আপত্তি করলেও প্রধান উপদেষ্টা আমাকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে জনা বিশেক সুশীল সমাজের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেন। ওই বৈঠকে প্রথম একজন সম্পাদক বলেন, ‘দুই নেত্রীকে দলের প্রধান রেখে বাংলাদেশের গণতন্ত্র অসম্ভব। তাঁরা এটাও বলেন, রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচন হবে অর্থহীন। তাঁদের বক্তব্যের সূত্র ধরেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক সংস্কার হাতে নেয়।’ জেনারেল মঈন তাঁর পান্ডুলিপিতে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠকের কথা স্বীকার করেন। তিনি লিখেছেন, ‘ওই সব নেতারা আমাকে দ্রুত শেখ হাসিনার বিচার শেষ করে তাঁকে দণ্ডিত করার জন্য অনুরোধ করেন। তাঁরা এও আশ্বস্ত করেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনের অযোগ্য হলেই, কেবল নির্বাচন দেওয়া উচিত।’ বিএনপির নেতারা বরং বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তার না করে বিদেশে পাঠানোর পক্ষে মত দেন। বিএনপির নেতারা তাঁদের প্রধানকে বেশি ভয় পেতো বলেও মঈন ইউ আহমেদ পাণ্ডুলিপিতে মন্তব্য করেছেন। তিনি পাণ্ডুলিপিতে লিখেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করল, তখন আওয়ামী লীগের নেতারা নেতৃত্ব এবং ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। চারজন নেতা পৃথক ভাবে গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেদের প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্য বলে দাবি করেন। এরা এক পর্যায়ে বিরক্তি এবং রসিকতার বস্তুতে পরিণত হন। এরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে, আমাকে নেতা হবার প্রস্তাব দেয়। একই প্রস্তাব আসে বিএনপি থেকেও। আওয়ামী লীগ বিএনপি সব ব্যাপারে ঝগড়া করলেও আমি দেখেছি, তাদের ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে কোনো বিরোধ ছিল না। দুপক্ষ থেকেই সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সর্বদলীয় সরকার প্রধান কে হবে, এই প্রশ্ন করলে দুদল থেকেই আমার নাম আসে। কিন্তু আমি ওই প্রস্তাব বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করি। অবশ্য সুশীল সমাজ সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দেখায়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সেনা গোয়েন্দাদের দল একদিন আমার সঙ্গে বৈঠক করে। পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তারা আমাকে জানায়, ‘একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া সব রাজনীতিবিদকেই কেনা যায়।’ পরে তাঁদের কথার সত্যতা আমি হারে হারে টের পাই। তিনি লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক সংস্কারের ব্যাপারে হাত না দিলে আমরা বুঝতাম না, আমাদের রাজনৈতিক সমস্যা কোথায়। অচিরেই আমরা বুঝি, সমস্যা দুই নেত্রী নন, সমস্যা নেতারা। তারা শুধু কিছু পাবার চিন্তায় বিভোর থাকেন। এদের কাছে আদর্শ মূল্যহীন।