ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা

কোটি টাকার বিশ্বকাপ টিকিট কিনেছে বিসিবি

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০১৯
  • / ১০৫৩ টাইম ভিউ

আর মাত্র ৪ দিন বাকি। এরপরই ইংল্যান্ডে বেজে উঠবে বিশ্বকাপের দামামা। খেলা দেখার টিকিট পেলে রথ দেখা হবে, কলাও বেচা হবে। মানে একসঙ্গে বিলেত দর্শন ও বিশ্বকাপের খেলা দেখা।

এ সুবর্ণ সুযোগের সদ্ব্যাবহার করতে দেশ-বিদেশ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে বিশ্বকাপের টিকিট চাচ্ছেন অসংখ্য টাইগার ভক্ত। এজন্য অনেকে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছ থেকে টিকিট কিনছে বিসিবি।
বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালকরা জানান, আনুমানিক ২ কোটি টাকার টিকিট কেনা হচ্ছে। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বোর্ডের স্টেকহোল্ডারদের কিছু টিকিট দিতে হবে। আমরা আইসিসির কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট পাই। তবে তা দিয়ে চাহিদা মেটে না। সবার ইচ্ছা পূরণ করতে কিছু টিকিট কিনতে হচ্ছে। হাতে পাওয়ার পরই এ সংখ্যা জানানো হবে।

বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের জন্য আইসিসি থেকে ১০০টি করে সৌজন্য টিকিট পাবে বিসিবি। লিগ পর্বের ৯ ম্যাচের জন্য পাওয়া যাবে ৯০০ টিকিট। মূলত খেলোয়াড়দের জন্য এ টিকিট দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

তবে এ থেকে ক্রিকেটারদের জন্য ম্যাচপ্রতি ২টি করে টিকিট বরাদ্দ করেছে বিসিবি। বাকি ৭০টি টিকিট নিজেদের কাছে রেখে দেবে। ৯ ম্যাচে ৬৩০টি টিকিট থাকবে বোর্ডের হাতে। এখান থেকে পরিচালকদের প্রতি ম্যাচে দেয়া হবে ২টি করে টিকিট। ২৫ জন পরিচালকের জন্য ৯ ম্যাচে বরাদ্দ থাকবে ৪৫০টি টিকিট। স্বাভাবিকভাবেই অবশিষ্ট ১৮০টি টিকিট দিয়ে বিশাল চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।
নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, ঢাকার ক্লাব ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের চাহিদা মেটাতে আইসিসি থেকে টিকিট কিনতে হচ্ছে। পরিচালকরাও বোর্ডের কাছ থেকে তা কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বিশেষ করে ঈদ সামনে থাকায় চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই টিকিট কিনতে কয়েক কোটি টাকা গুনতে হচ্ছে।

কত টাকার টিকিট কেনা হচ্ছে? জবাবে বিসিবি সিইও বলেন, টিকিট হাতে পাওয়ার পর টাকার অংক জানাতে পারবো। খুব বেশি খরচ হবে না। আমরা আইসিসির কাছে যে পরিমাণ টিকিট চেয়েছি তা নাও পাওয়া যেতে পারে। কারণ অন্য বোর্ডগুলোও টিকিট কিনবে। ৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ টিকিট চেয়ে ‘রিকুজিশন’ দেয়ার সুযোগ রেখেছে আইসিসি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবি এক পরিচালক জানান, ৩ কোটি টাকা সমমূল্যেরই টিকিট চাওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত হয়তো ২ কোটি টাকার পাওয়া যাবে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২২ মে লন্ডন থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছেন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা। বেশিরভাগ টিকিটই সেখান থেকে পার্সেলে করে ঢাকায় পাঠিয়েছেন তিনি। দু’একদিনের মধ্যেই তা পৌঁছে যেতে পারে। আর কিছু টিকিট ইংল্যান্ডে জাতীয় দলের ম্যানেজারের কাছে রেখে দেয়া হয়েছে।

বিশ্বকাপের টিকিট কিনতে আইসিসির সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ করেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্টের পিএস তৌহিদ মাহমুদ।

তিনি বলেন, কেনা টিকিটের ১০ ভাগ রাখবে বিসিবি। সেগুলো রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দেয়া হতে পারে। বাকি ৯০ ভাগ কেনে নেবেন বোর্ড পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কেবল টাকা পরিশোধের পরই টিকিট দেয়া হবে।

তবে বিসিবির কাছ থেকে টিকিট পাওয়া নিয়ে শংকায় আছেন স্টেকহোল্ডাররা। এক পরিচালক জানান, ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের কথা বলে টিকিট কেনা হচ্ছে। তবে প্রভাবশালীরাই তা ভাগ বাটোয়ারা করে নিতে পারেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

কোটি টাকার বিশ্বকাপ টিকিট কিনেছে বিসিবি

আপডেটের সময় : ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০১৯

আর মাত্র ৪ দিন বাকি। এরপরই ইংল্যান্ডে বেজে উঠবে বিশ্বকাপের দামামা। খেলা দেখার টিকিট পেলে রথ দেখা হবে, কলাও বেচা হবে। মানে একসঙ্গে বিলেত দর্শন ও বিশ্বকাপের খেলা দেখা।

এ সুবর্ণ সুযোগের সদ্ব্যাবহার করতে দেশ-বিদেশ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে বিশ্বকাপের টিকিট চাচ্ছেন অসংখ্য টাইগার ভক্ত। এজন্য অনেকে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছ থেকে টিকিট কিনছে বিসিবি।
বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালকরা জানান, আনুমানিক ২ কোটি টাকার টিকিট কেনা হচ্ছে। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বোর্ডের স্টেকহোল্ডারদের কিছু টিকিট দিতে হবে। আমরা আইসিসির কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট পাই। তবে তা দিয়ে চাহিদা মেটে না। সবার ইচ্ছা পূরণ করতে কিছু টিকিট কিনতে হচ্ছে। হাতে পাওয়ার পরই এ সংখ্যা জানানো হবে।

বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের জন্য আইসিসি থেকে ১০০টি করে সৌজন্য টিকিট পাবে বিসিবি। লিগ পর্বের ৯ ম্যাচের জন্য পাওয়া যাবে ৯০০ টিকিট। মূলত খেলোয়াড়দের জন্য এ টিকিট দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

তবে এ থেকে ক্রিকেটারদের জন্য ম্যাচপ্রতি ২টি করে টিকিট বরাদ্দ করেছে বিসিবি। বাকি ৭০টি টিকিট নিজেদের কাছে রেখে দেবে। ৯ ম্যাচে ৬৩০টি টিকিট থাকবে বোর্ডের হাতে। এখান থেকে পরিচালকদের প্রতি ম্যাচে দেয়া হবে ২টি করে টিকিট। ২৫ জন পরিচালকের জন্য ৯ ম্যাচে বরাদ্দ থাকবে ৪৫০টি টিকিট। স্বাভাবিকভাবেই অবশিষ্ট ১৮০টি টিকিট দিয়ে বিশাল চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।
নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, ঢাকার ক্লাব ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের চাহিদা মেটাতে আইসিসি থেকে টিকিট কিনতে হচ্ছে। পরিচালকরাও বোর্ডের কাছ থেকে তা কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বিশেষ করে ঈদ সামনে থাকায় চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই টিকিট কিনতে কয়েক কোটি টাকা গুনতে হচ্ছে।

কত টাকার টিকিট কেনা হচ্ছে? জবাবে বিসিবি সিইও বলেন, টিকিট হাতে পাওয়ার পর টাকার অংক জানাতে পারবো। খুব বেশি খরচ হবে না। আমরা আইসিসির কাছে যে পরিমাণ টিকিট চেয়েছি তা নাও পাওয়া যেতে পারে। কারণ অন্য বোর্ডগুলোও টিকিট কিনবে। ৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ টিকিট চেয়ে ‘রিকুজিশন’ দেয়ার সুযোগ রেখেছে আইসিসি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবি এক পরিচালক জানান, ৩ কোটি টাকা সমমূল্যেরই টিকিট চাওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত হয়তো ২ কোটি টাকার পাওয়া যাবে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২২ মে লন্ডন থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছেন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা। বেশিরভাগ টিকিটই সেখান থেকে পার্সেলে করে ঢাকায় পাঠিয়েছেন তিনি। দু’একদিনের মধ্যেই তা পৌঁছে যেতে পারে। আর কিছু টিকিট ইংল্যান্ডে জাতীয় দলের ম্যানেজারের কাছে রেখে দেয়া হয়েছে।

বিশ্বকাপের টিকিট কিনতে আইসিসির সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ করেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্টের পিএস তৌহিদ মাহমুদ।

তিনি বলেন, কেনা টিকিটের ১০ ভাগ রাখবে বিসিবি। সেগুলো রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দেয়া হতে পারে। বাকি ৯০ ভাগ কেনে নেবেন বোর্ড পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কেবল টাকা পরিশোধের পরই টিকিট দেয়া হবে।

তবে বিসিবির কাছ থেকে টিকিট পাওয়া নিয়ে শংকায় আছেন স্টেকহোল্ডাররা। এক পরিচালক জানান, ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের কথা বলে টিকিট কেনা হচ্ছে। তবে প্রভাবশালীরাই তা ভাগ বাটোয়ারা করে নিতে পারেন।