ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

কুলাউড়ার কাদিপুরে বাকীতে পণ্য না দেয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা : আটক ১

দেশদিগন্ত ডেক্স
  • আপডেটের সময় : ০৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ১৭৬৬ টাইম ভিউ

বাকীতে পণ্য না দেয়ায় এক ব্যবসায়ীর উপর হামলা করা হয়েছে। হামলায় ওই ব্যবসায়ী রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের পেকুরবাজারে।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীর ভাই আব্দুল আহাদ বাদী হয়ে ৩ জনের নামোল্লেখ করে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা (নং-০৫) দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় কাসেম মিয়া নামক একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পেকুর বাজার জননী ভেরাইটিজ ষ্টোরের অন্যতম সত্বাধিকারী কিয়াতলা গ্রামের মো. মাজাদ উদ্দিন প্রতিদিনের মত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন। ৩ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে কৌলারশি গ্রামের সেলিম মিয়া ওই প্রতিষ্ঠানে আসেন। কিছু সময় পর তিনি বাকীতে মালামাল নিতে চান। এসময় ব্যবসায়ী মাজাদ উদ্দিন আগের দেনা-পাওনা না মিঠিয়ে পুনরায় বাকীতে মালামাল দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

বিষয়টি নিয়ে মাজাদ উদ্দিন ও সেলিম মিয়ার মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেলিম মিয়া উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে ব্যবসায়ী মাজাদের উপর হামলা চালান। তাৎক্ষনিক সেলিম মিয়া কেয়াতলা গ্রামের মো. কাসেম মিয়া ও কৌলারশী গ্রামের মো. বাবলু মিয়াকে মোবাইল ফোনে দ্রুত ডেকে এনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবারো হামলা করেন ব্যবসায়ী মাজাদের উপর। এতে ওই ব্যবসায়ী অজ্ঞান হয়ে দোকানের মেঝে লুটে পড়েন।

এদিকে তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থা প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় হামলাকারীরা দোকান থেকে নগদ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শামীম মূসা জানান, এজহারভুক্ত ১জন আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ার কাদিপুরে বাকীতে পণ্য না দেয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা : আটক ১

আপডেটের সময় : ০৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৮

বাকীতে পণ্য না দেয়ায় এক ব্যবসায়ীর উপর হামলা করা হয়েছে। হামলায় ওই ব্যবসায়ী রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের পেকুরবাজারে।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীর ভাই আব্দুল আহাদ বাদী হয়ে ৩ জনের নামোল্লেখ করে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা (নং-০৫) দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় কাসেম মিয়া নামক একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পেকুর বাজার জননী ভেরাইটিজ ষ্টোরের অন্যতম সত্বাধিকারী কিয়াতলা গ্রামের মো. মাজাদ উদ্দিন প্রতিদিনের মত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন। ৩ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে কৌলারশি গ্রামের সেলিম মিয়া ওই প্রতিষ্ঠানে আসেন। কিছু সময় পর তিনি বাকীতে মালামাল নিতে চান। এসময় ব্যবসায়ী মাজাদ উদ্দিন আগের দেনা-পাওনা না মিঠিয়ে পুনরায় বাকীতে মালামাল দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

বিষয়টি নিয়ে মাজাদ উদ্দিন ও সেলিম মিয়ার মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেলিম মিয়া উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে ব্যবসায়ী মাজাদের উপর হামলা চালান। তাৎক্ষনিক সেলিম মিয়া কেয়াতলা গ্রামের মো. কাসেম মিয়া ও কৌলারশী গ্রামের মো. বাবলু মিয়াকে মোবাইল ফোনে দ্রুত ডেকে এনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবারো হামলা করেন ব্যবসায়ী মাজাদের উপর। এতে ওই ব্যবসায়ী অজ্ঞান হয়ে দোকানের মেঝে লুটে পড়েন।

এদিকে তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থা প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় হামলাকারীরা দোকান থেকে নগদ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শামীম মূসা জানান, এজহারভুক্ত ১জন আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।