ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
মৌলভীবাজারে সংবর্ধিত মুসলিম কমিউনিটি আহবায়ক শায়খ নূরে আলম হামিদী মহান স্বাধীনতা দিবস ও রমাদান উপলক্ষ্যে সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পর্তুগাল বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে আব্দুল্লাপুর আঞ্চলিক সমিতির ষষ্ঠ বর্ষে পর্দাপন কেক কেটে উদযাপন ইতালির মিলানে ফেনী জেলা সমিতির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোজাদারদের সম্মানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ভারেজ প্রভিন্সের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল ইতালি উত্তরের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্কুল শিক্ষিকা কে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী গ্রেফতার

উইম্বলডন ‘কিং’ রজার

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ০১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
  • / ১০৩০ টাইম ভিউ

রজার ফেদেরারের জন্য কোনো বিশেষণই যথেষ্ট নয়। তাকে টেনিস কোর্টের সম্রাট বলতে পারেন। উইম্বলডনের রাজা বলতে পারেন। তবু মনে হবে যথেষ্ট হয়নি। আসলে হওয়ার কথাও নয়। কেউ যখন সব কীর্তিকে ছাপিয়ে যায় তখন শব্দ দিয়ে তাকে ধরা সম্ভব নয়। ফেদেরার টেনিসের সব কীর্তিকে ছাপিয়ে গেছেন। অষ্টম উইম্বলডন জিতে টেনিসের মহত্তম সোপান পঙ্ক্তি পেরিয়ে মহান এক গৌরবের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি।
ইতিহাস গড়েছেন কোর্টের সিংহহৃদয়! সবচেয়ে বেশি বয়সে উইম্বলডন জয়ের ইতিহাস। ১৯৬৮ সালে ওপেন যুগ শুরুর পর ৩৫ বছরে আর কেউ উইম্বলডন জিততে পারেননি। গতকাল সেন্টার কোর্টে ৬-৩, ৬-১, ৬-৪ সেটে ম্যারিন চিলিচকে হারানোর সময় ফেদেরারের বয়স ৩৫ বছর ৩৪৪ দিন। আগস্টের ৮ তারিখে তিনি ৩৬-এ পা রাখবেন। ১৯৭৬ সালে আর্থার অ্যাশ ৩২ বছর বয়সে উইম্বলডন জিতেছিলেন। ফেদেরারের আগে ওপেন যুগ শুরুর পর আর্থার অ্যাশই ছিলেন সবচেয়ে বেশি বয়স্ক উইম্বলডন জয়ী তারকা। আরও একটা ইতিহাস গড়েছেন ফেদেরার। অষ্টম উইম্বলডন জেতার পথে কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাসকে ছাড়িয়ে গেছেন ফেদেরার। সাম্প্রাসের ১৪টি গ্র্যান্ডস্লামের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়া ফেদেরারের মোট গ্র্যান্ডস্লামের সংখ্যা এখন ১৯। মোট ১৫টি গ্র্যান্ডস্লাম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন রাফায়েল নাদাল।

২০০৩ সালে প্রথম উইম্বলডন জিতেছিলেন ফেদেরার। এরপর ২০০৪, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৭ সালেও অল ইংল্যান্ড ক্লাব কোর্টের শিরোপা জেতেন ফেদেরার। ২০০৮-এ রাফায়েল নাদালের কাছে হেরেছিলেন। ২০০৯-এ আবার জেতেন। ২০১২-তে অ্যান্ডি মারেকে হারিয়ে সপ্তম উইম্বলডন জেতার পর গতকাল আবার জিতলেন। ১১টি উইম্বলডন ফাইনাল খেলে জেতেন আটটি শিরোপা। এই কৃতিত্বকে অসাধারণ বললে কম বলা হয়। ফেদেরার অবশ্য ট্রফি হাতে নিয়ে বলেছেন, ‘বিশ্বাস হয়নি আমি এটা অর্জন করতে পারব। গত বছরের পর আমি নিশ্চিত ছিলাম না, এখানে আবার ফাইনাল খেলতে পারব। এখানে দু’বার জকোভিচের কাছে হেরেছি। কিন্তু সব সময় আমার বিশ্বাস ছিল। আমি ফিরে আসার স্বপ্ন দেখতাম। আজ (রোববার) এখানে অষ্টম শিরোপা জিতলাম। অসাধারণ ব্যাপার। বিশ্বাস রাখলে জীবনে অনেক দূর যাওয়া যায়।’ সেন্টার কোর্টে উইম্বলডন জেতার পর এতটা আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন যে, ফেদেরার কান্না থামাতে পারছিলেন না। তার চোখে যখন আনন্দাশ্রু তখন স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় কাঁদছিলেন ম্যারিন চিলিচ। যিনি বাঁ পায়ে ফোস্কার কারণে ঠিকভাবে খেলতে পারছিলেন না। পরে চিলিচ বলেছেন, ‘স্যাম কুরির বিপক্ষে সেমিফাইনালের সময় পায়ে ফোস্কা পড়েছিল। ৩০ ঘণ্টা ধরে ফিজিও অনেক চেষ্টা করেছেন। সব সময় আমার সঙ্গে লেগে থেকে যতটা করা সম্ভব তিনি করেছেন। তবু ব্যথা ছিল।’ তবে এটাকে হেরে যাওয়ার কারণ হিসেবে দাঁড় করাতে নারাজ চিলিচ, ‘আমি ম্যাচ ছেড়ে দিইনি। আমি আমার সেরা চেষ্টাটাই করেছি।’ ফাইনালের আগে জার্মান কিংবদন্তি বরিস বেকার বলেছিলেন, ম্যাচটা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আসলে হয়েছে একপেশে। কোনো সেটে না হেরেই উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ফেদেরার। টেনিসের সর্বময় কিং ফেদেরার।

উইম্বলডনে রজার ফেদেরারের যত শিরোপা

সাল প্রতিপক্ষ

২০০৩ মার্ক ফিলিপোসিস ( যুক্তরাষ্ট্র)

২০০৪ অ্যান্ডি রডিক (যুক্তরাষ্ট্র)

২০০৫ অ্যান্ডি রডিক (যুক্তরাষ্ট্র)

২০০৬ রাফায়েল নাদাল (স্পেন)

২০০৭ রাফায়েল নাদাল (স্পেন)

২০০৯ অ্যান্ডি রডিক (যুক্তরাষ্ট্র)

২০১২ অ্যান্ডি রডিক (যুক্তরাষ্ট্র)

২০১৭ মার্ক চিলিচ (ক্রোয়েশিয়া)

উইম্বলডনের বাইরে ফেদেরারের যত গ্র্যান্ডস্লাম

সাল ট্রফি প্রতিপক্ষ

২০০৪ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন মার্ক সাফিন (রাশিয়া)

২০০৪ ইউএস ওপেন লিওটন হিউয়িট (অস্ট্রেলিয়া)

২০০৫ ইউএস ওপেন আন্দ্রে আগাসি যুক্তরাষ্ট্র)

২০০৬ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন মার্কোস বাগডাটিস (সাইপ্রাস)

২০০৬ ইউএস ওপেন অ্যান্ডি রডিক ( যুক্তরাষ্ট্র)

২০০৭ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ফার্নান্দো গঞ্জালেজ (চিলি)

২০০৭ ইউএস ওপেন নোভাক জকোভিচ (সার্বিয়া)

২০০৮ ইউএস ওপেন অ্যান্ডি মারে ( যুক্তরাজ্য)

২০০৯ ফ্রেঞ্চ ওপেন রবিন সোর্ডালিন (সুইডেন)

২০১০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন অ্যান্ডি মারে (যুক্তরাজ্য)

২০১৭ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন রাফায়েল নাদাল (স্পেন)

পোস্ট শেয়ার করুন

উইম্বলডন ‘কিং’ রজার

আপডেটের সময় : ০১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭

রজার ফেদেরারের জন্য কোনো বিশেষণই যথেষ্ট নয়। তাকে টেনিস কোর্টের সম্রাট বলতে পারেন। উইম্বলডনের রাজা বলতে পারেন। তবু মনে হবে যথেষ্ট হয়নি। আসলে হওয়ার কথাও নয়। কেউ যখন সব কীর্তিকে ছাপিয়ে যায় তখন শব্দ দিয়ে তাকে ধরা সম্ভব নয়। ফেদেরার টেনিসের সব কীর্তিকে ছাপিয়ে গেছেন। অষ্টম উইম্বলডন জিতে টেনিসের মহত্তম সোপান পঙ্ক্তি পেরিয়ে মহান এক গৌরবের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি।
ইতিহাস গড়েছেন কোর্টের সিংহহৃদয়! সবচেয়ে বেশি বয়সে উইম্বলডন জয়ের ইতিহাস। ১৯৬৮ সালে ওপেন যুগ শুরুর পর ৩৫ বছরে আর কেউ উইম্বলডন জিততে পারেননি। গতকাল সেন্টার কোর্টে ৬-৩, ৬-১, ৬-৪ সেটে ম্যারিন চিলিচকে হারানোর সময় ফেদেরারের বয়স ৩৫ বছর ৩৪৪ দিন। আগস্টের ৮ তারিখে তিনি ৩৬-এ পা রাখবেন। ১৯৭৬ সালে আর্থার অ্যাশ ৩২ বছর বয়সে উইম্বলডন জিতেছিলেন। ফেদেরারের আগে ওপেন যুগ শুরুর পর আর্থার অ্যাশই ছিলেন সবচেয়ে বেশি বয়স্ক উইম্বলডন জয়ী তারকা। আরও একটা ইতিহাস গড়েছেন ফেদেরার। অষ্টম উইম্বলডন জেতার পথে কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাসকে ছাড়িয়ে গেছেন ফেদেরার। সাম্প্রাসের ১৪টি গ্র্যান্ডস্লামের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়া ফেদেরারের মোট গ্র্যান্ডস্লামের সংখ্যা এখন ১৯। মোট ১৫টি গ্র্যান্ডস্লাম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন রাফায়েল নাদাল।

২০০৩ সালে প্রথম উইম্বলডন জিতেছিলেন ফেদেরার। এরপর ২০০৪, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৭ সালেও অল ইংল্যান্ড ক্লাব কোর্টের শিরোপা জেতেন ফেদেরার। ২০০৮-এ রাফায়েল নাদালের কাছে হেরেছিলেন। ২০০৯-এ আবার জেতেন। ২০১২-তে অ্যান্ডি মারেকে হারিয়ে সপ্তম উইম্বলডন জেতার পর গতকাল আবার জিতলেন। ১১টি উইম্বলডন ফাইনাল খেলে জেতেন আটটি শিরোপা। এই কৃতিত্বকে অসাধারণ বললে কম বলা হয়। ফেদেরার অবশ্য ট্রফি হাতে নিয়ে বলেছেন, ‘বিশ্বাস হয়নি আমি এটা অর্জন করতে পারব। গত বছরের পর আমি নিশ্চিত ছিলাম না, এখানে আবার ফাইনাল খেলতে পারব। এখানে দু’বার জকোভিচের কাছে হেরেছি। কিন্তু সব সময় আমার বিশ্বাস ছিল। আমি ফিরে আসার স্বপ্ন দেখতাম। আজ (রোববার) এখানে অষ্টম শিরোপা জিতলাম। অসাধারণ ব্যাপার। বিশ্বাস রাখলে জীবনে অনেক দূর যাওয়া যায়।’ সেন্টার কোর্টে উইম্বলডন জেতার পর এতটা আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন যে, ফেদেরার কান্না থামাতে পারছিলেন না। তার চোখে যখন আনন্দাশ্রু তখন স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় কাঁদছিলেন ম্যারিন চিলিচ। যিনি বাঁ পায়ে ফোস্কার কারণে ঠিকভাবে খেলতে পারছিলেন না। পরে চিলিচ বলেছেন, ‘স্যাম কুরির বিপক্ষে সেমিফাইনালের সময় পায়ে ফোস্কা পড়েছিল। ৩০ ঘণ্টা ধরে ফিজিও অনেক চেষ্টা করেছেন। সব সময় আমার সঙ্গে লেগে থেকে যতটা করা সম্ভব তিনি করেছেন। তবু ব্যথা ছিল।’ তবে এটাকে হেরে যাওয়ার কারণ হিসেবে দাঁড় করাতে নারাজ চিলিচ, ‘আমি ম্যাচ ছেড়ে দিইনি। আমি আমার সেরা চেষ্টাটাই করেছি।’ ফাইনালের আগে জার্মান কিংবদন্তি বরিস বেকার বলেছিলেন, ম্যাচটা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আসলে হয়েছে একপেশে। কোনো সেটে না হেরেই উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ফেদেরার। টেনিসের সর্বময় কিং ফেদেরার।

উইম্বলডনে রজার ফেদেরারের যত শিরোপা

সাল প্রতিপক্ষ

২০০৩ মার্ক ফিলিপোসিস ( যুক্তরাষ্ট্র)

২০০৪ অ্যান্ডি রডিক (যুক্তরাষ্ট্র)

২০০৫ অ্যান্ডি রডিক (যুক্তরাষ্ট্র)

২০০৬ রাফায়েল নাদাল (স্পেন)

২০০৭ রাফায়েল নাদাল (স্পেন)

২০০৯ অ্যান্ডি রডিক (যুক্তরাষ্ট্র)

২০১২ অ্যান্ডি রডিক (যুক্তরাষ্ট্র)

২০১৭ মার্ক চিলিচ (ক্রোয়েশিয়া)

উইম্বলডনের বাইরে ফেদেরারের যত গ্র্যান্ডস্লাম

সাল ট্রফি প্রতিপক্ষ

২০০৪ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন মার্ক সাফিন (রাশিয়া)

২০০৪ ইউএস ওপেন লিওটন হিউয়িট (অস্ট্রেলিয়া)

২০০৫ ইউএস ওপেন আন্দ্রে আগাসি যুক্তরাষ্ট্র)

২০০৬ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন মার্কোস বাগডাটিস (সাইপ্রাস)

২০০৬ ইউএস ওপেন অ্যান্ডি রডিক ( যুক্তরাষ্ট্র)

২০০৭ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ফার্নান্দো গঞ্জালেজ (চিলি)

২০০৭ ইউএস ওপেন নোভাক জকোভিচ (সার্বিয়া)

২০০৮ ইউএস ওপেন অ্যান্ডি মারে ( যুক্তরাজ্য)

২০০৯ ফ্রেঞ্চ ওপেন রবিন সোর্ডালিন (সুইডেন)

২০১০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন অ্যান্ডি মারে (যুক্তরাজ্য)

২০১৭ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন রাফায়েল নাদাল (স্পেন)